প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২১ , ৮:৩৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নৌকার ভোটব্যাংক খ্যাত জামালপুরের সরিষাবাড়ী এবং সীমান্তবর্তী কাজিপুর উপজেলার গামারতলা খেয়াঘাটে সেতুর অভাবে চরম দূর্ভোগে রয়েছে লাখো মানুষের জীবন এবং জীবিকা। অথচ এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিগণ।
বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, সূবর্ণখালি নদীর গামারতলার এই খেয়াঘাটে দুই পাড়ে বসবাস করে ২৫ টি গ্রামের প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। অথচ সেতুর অভাবে গ্রামের লোকজন আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত প্রায় ৫০ বছর যাবত।
দীর্ঘদিন স্থানীয়রা সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ লোকজনের। এ ব্যাপারে কথা হয় হাসেন মন্ডলের মতো নদী পারাপার হতে আসা স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ নানা পেশাজীবী লোকজনের সাথে, এই সময় তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও প্রতিদিন এভাবেই পারাপারের জন্য আমাদের গামারতলার এই খেয়াঘাটে বসে থাকতে হয়।
‘আমরা এই এলাকার প্রায় লোকজনই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আসছি প্রায় দীর্ঘদিন যাবত। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের বিএনপির আমলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা হামলা মামলার ভয়ে তাদের জান বাঁচানোর জন্য আমাদের এই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেই আশ্রয় নিয়ে তাদের জীবন বাঁচিয়েছিলো। অথচ আজ তারা তাদের এই বিপদের বন্ধুখ্যাত গ্রামগুলোর কথা ভুলে গেছে।
নির্বাচনের আগে এই সকল নেতাকর্মীরা তাদের স্বার্থের জন্য আসেন কিন্তু স্বার্থ ফুরালে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না’।
নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত যমুনা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা এই সময় বলেন, ‘সঠিক সময়ে পারাপার হতে না পেরে আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস করতে পারি না।
তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে প্রায় দিনই বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হয় এবং ভিজে কাপড় নিয়েই ক্লাস করতে হয়। তাছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে অনেক সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের’।
এলাকার লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যমুনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পোগলদিঘা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই ব্রীজটির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এম.পি ডিও লেটার দিয়েছেন। তাছাড়াও তিনি পরেরদিনই প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ব্রীজটি যেনো হয় সেই ব্যাপারেও এলাকার লোকজনকে আশ্বস্ত করেন’।
উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, ‘আমি যতদূর জানি জায়গাটি এলজিইডির আওতাভুক্ত। ব্রীজটি খুবই গুরত্বপূর্ণ সে কথাও স্বীকার করেন।
তবে জেলার তিনটি প্রকল্পের মধ্যে এই ব্রীজটির নাম নাই। সামনে প্রকল্প সংশধনী করে বা নতুন ব্রীজের অনুমোদন পেলে যমুনা শাখা নদীর উপর (সূবর্ণখালি) ব্রীজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।