রংপুর

সাদুল্যাপুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে ধীরগতি

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২০ , ৩:৪৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

এমএস সোহেল, গাইবান্ধা:

গেল ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত নির্মাণাধিন আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। শুধুমাত্র রাস্তার দুই ধারে মাটি ভরাট করেই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। এতে এই রাস্তায় অগণিত গর্ত আর খানাখন্দে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

কবে নাগাদ এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হবে সেটি এখন বলতে পারছে না কেউ। তাই এই সড়কের পথচারীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এদিকে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পুরাতন পাকা রাস্তার মেরামত কাজ বন্ধ থাকায় সাদুল্যাপুর-ধাপেরহাট সড়কে একাধিক স্থানে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের গর্তগুলো বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাসে এসব গর্তে একাধিক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে সতর্কতা বার্তা হিসেবে গর্তে ‘লাল পতাকা’ টানিয়েছে স্থানীয়রা। বর্তমানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারী পথচারী এবং যানবাহনের যাত্রী সাধারণকে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে জানা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সংযোগ দেওয়ার জন্য সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের জন্য সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট, ফরিদপুর, ভাতগ্রাম, বনগ্রাম ও কামারপাড়া ইউনিয়নের ২২ দশমিক ৮ কিলোমিটার পুরনো পাকা রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছে। দুই বছর আগে মাটি ভরাট করা হলেও সেগুলো এখনো ফিনিশিং করা হয়নি। যার কারণে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের শুরু থেকেই পথচারীরা নানা দুর্ভোগ আর যন্ত্রণা সহ্য করে চলাচল করছে।

উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশা মল্ডল জানান, আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের জন্য রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাটের পর ফিনিশিং না করায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতের বেলা মরণ ফাঁদে রুপ নেয় এই গর্তগুলো। পথচারীদের দুর্ভোগ লাগবের জন্য কবে নাগাদ এই মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বকসিগঞ্জ একে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, রাস্তার এসব গর্ত পাড়ি দিয়েই প্রতিদিন কয়েকশত শিক্ষার্থী (করোনাকালের পূর্বে) বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। বৃষ্টি হলে গর্তগুলো একধরণের ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ যেকেউ এসব গর্তের ডোবায় পরে যেন কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানি। এরপরও মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই নির্মাণাধিণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল হাসান রনি বলেন, এই রাস্তাটি যেহেতু আঞ্চলিক মহাসড়ক হবে, তাই এখানে নতুন কোন প্রকল্প ধরে মেরামত কাজ করার সুযোগ নেই। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে খানাখন্দ আর গর্তের মাঝ দিয়েই সতর্কভাবে দেখে-শুনে পথচারী এবং যানবাহন চলাচল করতে হবে। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে মোবাইল রিপিয়ারিং কাজের মাধ্যমে দ্রæত রাস্তার গর্তগুলো ভরাটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর এই আঞ্চলিক মহাসড়কের এক স্থানে ১ হাজার ৪৯০ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সেজন্য ওই ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ার আগে এই আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ সহসাই সম্পন্ন হবে না। ইতিমধ্যে গেল ডিসেম্বর মাসে এই মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by