দেশজুড়ে

সিলেট নগরে আম্বরখানা-শাহী ঈদগাহ সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে ও ক্ষোভ-অসন্তোষ

  প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২১ , ৭:২১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

বাপ্পা মৈত্র, সিলেটঃ

সিলেট নগরের আম্বরখানা থেকে শাহী ঈদগাহ পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটি বহুদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই সড়কের বেশিরভাগ অংশই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলাচলকারী মানুষজন। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। সংস্কারের অভাবে সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে গেছে।

এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার না করায় সিসিককে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ সড়কের বেশির ভাগ স্থানে পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে ভরপুর। নগরের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুই বছর ধরে এসব রাস্তায় কোনো সংস্কার না হওয়ায় স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। পাথর ও ইটের খোয়া বেরিয়ে যাওয়ায় এসব রাস্তা দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, বাস, লেগুনাসহ নানা ধরনের যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এসময় শাহী ঈদগাহ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমাদের এলাকার রাস্তাটি কয়েক বছর ধরেই ভেঙে পড়ে আছে। এ রাস্তাটি নগরের গুর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকার মূল সড়কের সংযোগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অথচ সংযোগ সড়কটিই চলাচলের অনুপযোগী। সংস্কারের অভাবে রাস্তার অবস্থা খুবাই খারাপ, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আম্বরখানা থেকে টিলাগড় রোডের সিএনজি অটোরিকশা চালক লোকমান উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিন আগে অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। অসাবধানতাবশত হঠাৎ করে একটি গর্তে চাকা পড়ে গিয়ে সিএনজিটি হেলে পড়ার মত অবস্থা তৈরী হয়। এতে রোগী আরও আহত হন।

বৃষ্টি হলে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে ভয় করে কখন কি হয়ে যায়। সরকারের দেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা সিসিক কোথায় খরচ করছে, নগরের গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কেরই একই অবস্থা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, আম্বরখানা থেকে শাহী ঈদগা রাস্তাটির কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগে রাস্তাগুলোর সংস্কারকাজ শুরু করা যাবে না। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়া মাত্রই আবার সংস্কারকাজ করা হবে। তবে যান চলাচলের জন্য বড় বড় খানাখন্দগুলো ভরাট করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এ সড়কটি দিয়েই এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, বালুচর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, হার্ট ফাউনডেশন, বক্ষব্যধি ক্লিনিক, ডায়রিয়া হাসপাতাল ও শিল্পকলা একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়।

এছাড়াও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ, হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার, জালালাবাদ সেনানিবাস, তামাবিল ও জাফলং যাওয়ার মহাসড়কের সঙ্গেও এটি গিয়ে যুক্ত হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by