দেশজুড়ে

স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমির চিতলমারী থেকে উদ্ধার

  প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৪:৩৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমির চিতলমারী থেকে উদ্ধার

সুন্দরবনে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির শত কিলোমিটার ঘুরে চিতলমারীর একটি পুকুরে অবস্থান করা কুমিরটি শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে খুলনা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল। এর আগে লবণ পানির কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি গবেষণার জন্য সুন্দরবনে চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে অবমুক্ত করা হয়েছিল। উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য।

অবমুক্ত করা চারটি কুমিরের মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভেতরে ঘোরাঘুরি করলেও এ কুমিরটি সুন্দরবন থেকে বের হয়ে মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জের পানগুছি পিরোজপুরের কচা, শরনখোলার বলেস্বর নদী অতিক্রম করে মধুমতি নদী সংলগ্ন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার একটি পুকুর অবস্থান করছিল।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন। জানান, (১১ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার মধুমতি নদী সংলগ্ন রাস্তায় কুমিরটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখার জন্য রাস্তায় ভির জমায়। এক পর্যায়ে কুমিরটি নদীতে না ফিরে রাস্তার পার্শবর্তী একটি পুকুরে অবস্থান নেয়। শনিবার সকালে থেকে, ওই কুমিরটিকে দেখতে শত শত উৎসুক জনতা পুকুরটিকে ঘিরে রেখেছে। কুমিরটির নিরাপত্তার জন্য ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

ওসি আরো জানান, বিষয়টি বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে। সন্ধার পরে খুলনা বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের একটি বিষেশজ্ঞ দল কুমরিটি উদ্ধারের করেছেন।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, গত ১৩ মার্চ সর্বপ্রথম দুটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছিল। এরপর গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে আরও একটি কুমিরের সঙ্গে এই কুমিরটিকেও অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করেছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআইজেড)।

হাওলাদার আজাদ কবির আরও বলেন, সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কীভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে এর আগে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। আমরা প্রতি বছরই সুন্দরবনে কুমিরের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে অবমুক্ত করে থাকি। এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০০ কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের গতিবিধি ও পরবর্তীতে তারা কোথায় যায় সেসব গবেষণা কখনও করা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by