প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৫৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এম জহুরুল হক হত্যার ২২ বছর পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ঘাতকেরা। হত্যায় জড়িত অনেককে শনাক্ত করা গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। যতই দিন যাচ্ছে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে জনমনে সংশয় আর হতাশা ততই বাড়ছে। ২০০১ সালের ২৫ আগষ্ট দিবাগত রাতে তার নিজ বাসভবনে ঘাতকেরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। পরদিন সকালে ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের পক্ষ হতে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে একাধিকবার তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন হয়ে সর্বশেষ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজকে। কিন্তু মামলার কার্যক্রম ধীরগতিতে চলায় হতাশ ও ক্ষুব্দ জহুরুল হকের পরিবারে। মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হকের ছেলে মুজিবুল হক মানিক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষিরা সাক্ষি দিতে আসেনা। তাই মামলা এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত সংস্হার দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছি। যা খুবি দুঃখ জনক। একজন মুক্তিযোদ্ধার সুষ্ঠ বিচার পাব কিনা জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী বলেন, গত দু’বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হত্যা মামলাটির অগ্রগতি করার লক্ষে উপজেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড.ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, উপজেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ সরোয়ার উদ্দীন এবং সদস্য শাহাবুদ্দীনকে নিয়ে তিনজন বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। মামলা এখন কোন অবস্হায় আছে সেটা তাদের থেকে জেনে জানাতো পারবো।
এদিকে জহুরুল হকের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়ায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা আ’লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে তার কবরে পূষ্পমাল্য অর্পন করা হবে।