প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৩২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মহাকাশে দীর্ঘ প্রায় ৪০ দিনের যাত্রা শেষে গতকাল বুধবার ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বের এলিট ‘স্পেস ক্লাবে’ জায়গা করে নিয়েছে। ঐতিহাসিক এ সাফল্যের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত এ গৌরব অর্জন করল। সেইসঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের দিক থেকে ভারতই প্রথম দেশ। খবর বিবিসির।
ভারতের এ সফল চন্দ্রাভিযান বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্য অনুসারে, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় মোট ৬১৫ কোটি রুপির মতো খরচ হয়েছে।
এতো কম খরচে পৃথিবীতে কোনো সফল মহাকাশ অভিযান লঞ্চ করার নজির খুব কমই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ এর খরচ হলিউডের বহু বিগ-বাজেট ও ব্লকবাস্টার ছবির নির্মাণের খরচের চেয়েও অনেক কম।
সাম্প্রতিক হলিউড মুভি ওপেনহাইমার তৈরির চেয়েও কম খরচে সম্পন্ন হয়েছে চন্দ্রযান-৩। এ ছাড়া প্রায় একই সময়ে হলিউডের আরেক সিনেমা ‘বার্বি’র নির্মাণে যা খরচ হয়েছে, তার মাত্র অর্ধেক লেগেছে ভারতের এই মহাকাশ অভিযানে।
এর আগে ২০১৩ সালে হলিউড বিগ বাজেটের মুভি ‘গ্র্যাভিটি’ তৈরিতে খরচ ১০ কোটি ডলার, ২০১৫ সালের ‘দ্য মার্শান’ তৈরিতে খরচ হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ। অন্যদিকে ভারতের ভারতের চন্দ্রযান-৩ এ খরচ হয়েছে সাড়ে সাত কোটি ডলার।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ইন্টারস্টেলার সিনেমার খরচ সাড়ে ১৬ কোটি ডলার। যা চন্দ্রযান ৩-এর বাজেটের দ্বিগুণেরও বেশি। এ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি তেসলা ও এক্সের প্রধান ইলন মাস্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চন্দ্রযান ৩-এর বাজেট ইন্টারস্টেলার সিনেমার খরচের চেয়ে কম। এই মিশন ভারতের জন্য ভাল বলে উল্লেখ করেছেন মাস্ক।