চট্টগ্রাম

হাতি দিয়ে টাকা তোলা চাঁদাবাজি না ভিক্ষাবৃত্তি

  প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:১৫:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

আশরাফ উদ্দিন (চট্টগ্রাম) মিরসরাই:

প্রায় সময় পত্রিকার পাতায় দেখা যায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। এসব খবরের প্রেক্ষাপটে অনেক সময় প্রশাসন কর্তৃক হাতিকে আটক করা হয় ও হাতির মাহুত কে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। বছরে বা ছয় মাসে একবার অভাবের কারনে হাতির মাহুত হাতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে ৫টাকা ১০টাকা সহায়তা নেয়ার চেষ্টা করে। অনেকেই হাতি দিয়ে এই সাহায্য চাওয়াকে চাঁদাবাজি বলতে নাখোশ তারা বলতে চান এটি একপ্রকার ভিক্ষাবৃত্তি। এই সামান্য ভিক্ষাবৃত্তিকে অনেকেই অতিরঞ্জিত করে চাঁদাবাজি বলে রসালো গল্প সাজিয়ে নিজেদের জাহির করেন। অথচ সমাজে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা দূর্নীতিকরে, লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে সবাই সে ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে হমিদুল ইসলাম নামে এক মাহুত তার সার্কাসের একটি হাতি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী যাওয়ার পথে মিরসরাই পৌরবাজারের ভিবিন্ন দোকান থেকে ৫টাকা ১০টাকা করে উত্তোলন করে। এসময় দোকানদাররা খুশি মনেই হাতির শুড়ে ৫টাকা কিংবা ১০টাকা গুজে দিয়ে হাতির সাথে ছবি তুলে আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু বিষয়টিকে অনেকেই চাঁদাবাজি বলে প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে জাহেদ নামে এক দোকানি বলেন, হাতির মাহুতরা সাধারণত অত্যন্ত ধরিদ্র শ্রেনীর হয়ে থাকে। বর্তমানে তেমন কোন সার্কাস হয় না বলেই চলে। তাই তাদের কোন আয়ের উৎসও নেই। তারা বন বিভাগের হয়ে অথবা পাহাড়ে গাছ টানার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সময় পথে খরচের টাকার জন্য মানুষের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০টাকা চেয়ে নেয়। এটাকে কোন প্রকারেই চাঁদাবাজি বলা যেতে পারে না। মানুষ চিড়িয়া খানায় হাতি দেখার জন্য যেতে সময় ও টাকা ব্যয় হয়। আর হাতি বছরে এক-আধবার আমাদের কাছে আসে আমরা খুশি করে ৫টাকা দিলে দিলাম না দিলে নাই। কাছ থেকে হাতিটা দেখি, হাতির গায়ে হাত রেখে ছবি তুলি ভালো লাগে। এটাকে চাঁদাবাজি বলা খুবই দুঃখের ব্যাপার।
মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সংঙ্গা অনুযায়ী অযৌক্তিক বাধ্যতামুলক নির্দিষ্ট অংকের টাকা সন্ত্রাসী কায়দায় আদায় করাকে চাঁদাবাজি বলে। অন্যথায় হুমকি ধমকি এমকি টর্সার করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাতি দিয়ে যে টাকা তোলা হয় সেটি বাধ্যতা মূলক নয় বরং একটি ঐচ্ছিক বিষয় যেমন আপনি ভিক্ষুককে যে ভাবে সহায়তা করেন। এটা একপ্রকার ভিক্ষাবৃত্তি তবে নিয়মিত কিংবা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে সেটি বেআইনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by