হামুন’র সাত নম্বর সংকেতে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’কে সামনে রেখে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ১০) চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজারকে ৬ ও মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন‘ ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সচিব মোঃ ওমর ফারুক।

ঘূর্ণিঝড় হামুনকে সামনে রেখে বন্দরের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নেবে তা নির্ধারিত আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে যাতে বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, কার্গো ও কনটেইনারের ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সকাল ১১টায় বন্দর ভবনে কর্মকর্তাদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে ছোট বড় সব জাহাজ বহির্নোঙরে কিংবা শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি)সহ সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট পর্যায়ক্রমে প্যাকিং করা হয়েছে। খালি কনটেইনারগুলো নিচে বা নিরাপদে রাখা হয়েছে। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকবে। জেটি, টার্মিনাল ও ইয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত ডেলিভারি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা, সচেতনতামূলক মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।