প্রতিনিধি ১ জুন ২০২০ , ৫:২৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যাুরো: চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি বেসরকারি কন্টেইনার ইয়ার্ড এছাক ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোহাম্মদ ইউনুস আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে অসুস্থতা বোধ করার সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। রোববার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে হাজী মোহাম্মদ ইউনুছের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হাজী ইউনুছের পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্ধ্যা ৬টায় অসুস্থতাবোধ করলে তাকে প্রথমে নগরের জিইসি মোড়স্থ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে শেষ পর্যন্ত ভর্তি করা যাবে না জানিয়ে দেওয়ার পর রাত ৮টায় মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক আকুতির পর সেখানে ভর্তি নেওয়া হয় বটে। কিন্তু তাৎক্ষণিক আইসিইউ সাপোর্ট না পাওয়ায় তার অবস্থার ক্রমাবনতি হতে থাকে। এ অবস্থায় সেখানে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা করে চট্টগ্রাম নগরের আইসিইউ সম্বলিত সকল বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে আইসিইউ, নিদেনপক্ষে একটি এইচডিও শয্যা ভিক্ষা চাওয়া হয়। কিন্তু করোনা সন্দেহে কোনো হাসপাতালই আইসিইউ সাপোর্ট দিতে এগিয়ে আসেনি।
শেষ পর্যন্ত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ ইউনুছের আগে থেকে ডায়বেটিস, কিডনি এবং হাপানির সমস্যা ছিল। গত ২৫ মার্চ ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম ফিরেন। এরপরও উন্নত চিকিৎসা ও চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবার জন্য ভিসা-টিকেটসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেটি আর সম্ভব হয়নি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি অত্যন্ত সদালাপী, বন্ধুবৎসল, পরোপকারী ও দানশীল মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম নগরীর সল্টগোলা রেল ক্রসিং এলাকায় তাকে দাফন করা হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।