খুলনা

২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২১ , ৪:৪৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে বুধবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়।

 

বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম (৬০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা (৪০), কুকরালী এলাকার নাজমা বেগম (৫০) পলাশপোল এলাকার আনছার আলী (৭৫), কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন (৬৬), শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আশরাফ হোসেন (৪৭), দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন (৪৫), আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৪৮) ও পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০)।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ (৭৫), যশোরের শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী (৬২), তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম (৬০), পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল (৭৫) ও সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী (৫২)।

এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৯ জন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল বলেন, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানির গাড়ি আসতে দেরি করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে তিনজন রোগী মারা যান।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে। যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেওয়া হয়। সেকারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সকলের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধান থাকা ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by