প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২১ , ৩:২২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
এ ঘটনায় গ্রেফতার পারভীন আক্তার ওরফে মায়া শেখ (২৭) ও তার সহযোগী লক্ষণ দাসকে (২২) শুক্রবারই জেলহাজতে পাঠানো হয়। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে গাজীপুরের সেইফ হোম কাস্টডিতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ভবানীপুর গ্রামে মায়া শেখ নামের এক নারী ওই কিশোরীকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন। এরপর দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে মোটরসাইকেল যোগে কিশোরীকে পাঠায়। বড়দিনের পর একদিন রাতে দূর্গাপুর কলমাকান্দা সড়কে টহল পুলিশ আটকালে তার আত্মীয় মায়া শেখের সঙ্গে কলমাকান্দা এসেছে বলে জানায় কিশোরী।
পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বর কলমাকান্দা যমুনা নামের এক হোটেলে তার নাম রেজিস্ট্রি পাওয়া যায়। এর পরদিন ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে তাকে কোনো এক জায়গায় পাঠায় মায়া শেখ। পরবর্তীতে মধ্যরাতে কিশোরীকে কিছু ছেলে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করছে বলে পুলিশের সাহায্য চেয়ে ৯৯৯-এ ফোন আসে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ রাতেই উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর উত্তরপাড়া এলাকার আবু সাঈদ চৌধুরীর বাড়ির পুকুরপাড় থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরদিন ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের একটি টিম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা মায়া শেখ ও সহযোগী যুবক লক্ষণ দাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে মায়া শেখ দাবি করেন, ওই কিশোরী তার আত্মীয় এবং তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। কলমাকান্দা থেকে তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দিলে পথে কিছু ছেলে ধরে নিয়ে গেছে জানিয়ে কলটি তিনিই করেছিলেন। পরে ওই মোটরসাইকেলটিও জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে আটক দুজনের নামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মায়া শেখ এর আগেও কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিচয় দেন। ঢাকায় পরিচয় হওয়া কিশোরীকে বেশি টাকায় কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন বলে ভিকটিম সূত্রে জানতে পারি। আমরা কিশোরীকে সেইফ কাস্টডিতে পাঠিয়েছি। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে রয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।