প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২০ , ৮:২৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকায় মোয়াজ উদ্দিন টেক্সটাইল লিঃ নামক একটি পোশাক তৈরির কারখানার দুই শ্রমিকের নামে ডিজিটাল নিরাপওা আইনে মামলা হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোরশেদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে কারখানার শ্রমিক মোমিনুল ইসলাম ও বাদল হোসেনের নামে মঙ্গলবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
পরে ডিজিটাল নিরাপওা আইনে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরেন করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার, উল্লাপাড়া থানার, গোবিন্দপুর এলাকার মৃত ওসমান প্রামানিকের ছেলে মোঃ মোমিনুল ইসলাম(৩৪) ও পাবনা জেলার বেড়া থানার কাকমাইরপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে বাদল হোসেন(২৫)।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পুর্বচান্দরা খাদেম মার্কেট এলাকায় জনৈক লাল মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে দুইজন লোক অবস্থান করে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে অপপ্রচার করছে। অত্র থানাধীন মোয়াজ উদ্দিন ফ্যাক্টরীর গেইটে তিনজন লোককে মেরে ফেলেছে। মৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন গর্ভবতি মহিলা আছেন। ফ্যাক্টরীর বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উক্ত ঘটনা ঘটেছে। অথচ ওই থানা এলাকায় ওই রকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
কারখানার শ্রমিক মোমিনুল ইসলাম ও বাদল মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে অপপ্রচার করে গুজব ছড়ায়। শ্রমিক বাদল ও মোমিনুল শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনদের মধ্যে মিথ্যা অপপ্রচার করে ডিজিটাল নিরাপওা আইনে অপরাধ করিয়াছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ–পরিদর্শক(এসআই) নায়েবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কারখানার বিষয় নিয়ে ডিজিটাল নিরাপওা আইনে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখঃ উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকায় মোয়াজ উদ্দিন টেকসটাইল লিঃ নামক একটি শতভাগ বেতনের দাবীতে মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। কর্মরত শ্রমিকরা কারখানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে এসে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ষাটভাগ বেতন দেওয়ার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে। পরে কারখানার ভিতরেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও গাজীপুর শিল্প–১ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুিঝয়ে কারখানা থেকে সড়িয়ে দেন।