প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৭:২৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের নামে পিপিই পড়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে এলাকায় এলাকায় ডাকাতির গুজব উঠেছে। বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। এমন ঘটনায় সোমবার রাঁত ব্যাপী এলাকায় এলাকায় ডাকাত আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ডাকাতি ঠেকাতে সামাজিত দুরত্ব না মেনে দল বেধে খোঁজে চলে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এখন খেয়ে–পড়ে বেঁচে থাকা নিয়ে আতঙ্কে আছেন কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। শুধু বাজার ছাড়া এ উপজেলার মানুষ তেমন বাইরে বের হন না। সন্ধ্যার পর তো এখানকার মানুষ একেবারেই ঘরে বসে পড়ে। একেবারেই নিরব হয়ে পড়ে এ উপজেলা সদরসহ গ্রাম ও পাড়ামহল্লা। এ সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠে অপরাধ চক্র।
তাই একদিকে যেমন কোনো রকম খেয়ে–পড়ে শুধু করোনা থেকে বাঁচার তাগিদ, অন্য দিকে দেশের সংকট অর্থ–সম্পদ লুট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এখানকার মানুষ। এ সুযোগে সোমবার রাঁত ১০টার দিকে উপজেলার মাঝুখান এলাকায় ভাইরাস শনাক্তের নামে পিপিই পড়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ডাকাত পড়েছে ডাকাত পড়েছে এমন হই হোল্লাহ শুরু করে। এক পর্যায় ডাকাতি ঠেকাতে স্থানীয় মসজিদের মাইক দিয়ে এলাকায় ডাকাত পড়েছে এমন ঘোষণা দিলে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ওই এলাকার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখেন বিষয়টি আসলে গুজব।
শুধু ওই এলাকার মসজিদেই নয়, মুহুর্তের মধ্যে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ, সাত্তারগেইট, সফিপুর, বোডমিল, পাশাগেইট, মাটিঘাটা, সিনাবহ, তালতলী, কালিয়াদহ, আন্দার মানিক, ভান্নারা, মাঝুখান, বড়ইবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে মসজিদে ঘোষণা করা হয় যে, করোনা ভাইরাস শনাক্তের নামে পিপিই পড়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতদল এলাকায় এলাকায় ডাকাতি করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সব এলাকায় টহল জোরদার করে এবং তদন্ত করে দেখেন আসলে ডাকাতির বিষয়টি গুজব।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান জানান, মাঝুখান এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু ডাকাতির কোনো তথ্য–প্রমাণ মিলেনি। এটা আসলে গুজব। একই ভাবে আরো কয়েকটি এলাকায়ও এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে।