প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২০ , ৫:০৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ম.ম.হারুন অর রশিদ, মাদারীপুর : সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব–গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৫০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ আজ শুক্রবার রোজা রাখছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন।
সুরেশর দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদীনশীন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইন জানান, গতকাল ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ শুক্রবার সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রোজা রাখছেন।
তাই সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্ম প্রাণ মুসলমান আজ ২৪ এপ্রিল শুক্রবার রোজা রাখছেন বলে নূরে আক্তার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে তারাবির নামাজ ঘরে বসেই পড়ার জন্য আলহাজ্ব খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইন রোজাদারদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
শরিয়তপুর দ্বায়রা শরীফের মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক,বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, কুনিয়া, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, আউলিয়াপুর, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্রিসহ মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার প্রথম রোজা রাখছেন।
সুরেশ্বর পীরের ভক্তদের মতে, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘন্টা।তাই মক্কাবাসীসহ মধ্য প্রাচ্যের মুসলমানরা যেদিন রোজা রাখেন তারাও সেদিন থেকে রোজা করে থাকেন। তারা মনে করেন,৩ ঘন্টা সময়ের পার্থক্যের জন্য ২৪ ঘন্টা পার্থক্য মানা যুক্তিযুক্ত নয়।
উল্লেখ্য,সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা প্রায় দেড় শত বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ–উল–ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন।