খেলাধুলা

অনেক কিছু নির্ভর করছে বোর্ডের সঙ্গে মিটিংয়ের ওপর: তামিম

  প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৩ , ৮:০৮:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে তার চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে, পরদিন তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণায়। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাকি ২ ম্যাচ খেলেননি তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তামিমকে দেড় মাসের ছুটি দেন। এই সময়ে দুবাইয়ে যাবেন তামিম। সেখান থেকে নিজের চোটের চিকিৎসা করতে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা তার। এশিয়া কাপ দিয়ে দলে ফেরার কথা তামিমের। তবে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার মিটিংয়ের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তামিম।

দুবাই যাত্রার আগে দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘কয়েকদিনের জন্য দুবাই যাব। এরপর লন্ডনে যাব চিকিৎসক দেখাতে। পরে দেশে ফিরে বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের (জালাল ইউনুস) সঙ্গে বসব, যিনি আমার সরাসরি বস। উনার সঙ্গে বসে খুব খোলামেলা ও পরিষ্কার আলোচনা করতে চাই যে, কেন অবসর নিয়েছিলাম, আমার মাথায় কী চলছিল। গত ৬-৮ মাস ধরে আমি কেমন অনুভব করছি এবং কেন শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। …তাই খোলামেলা কথাই বলব। তারপর যেটাকে আমরা ভালো মনে করব, সেটাই হবে।’

এককথার মানুষ তামিম। অবসরের সিদ্ধান্ত যেহেতু নিয়েছিলেন, সেটি ভাঙতে চাননি। এর আগে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন, অনেকের চেষ্টার পরও ফিরে আসেননি। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলার পর সেটি অমান্য করা যায় না, বলেন তামিম।

তামিম বলেন, ‘আমি উনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমার সব কথা বলেছি এবং এটাও বলেছি যে, না ফিরলে আমার জন্য ভালো। উনি সবই খুব মনোযোগ দিয়ে ও ধৈর্য ধরে শুনেছেন। এরপর উনার মতো করে আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন, বুঝিয়েছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন ফেরার। আমার যারা ঘনিষ্ঠ বা আমার যারা কলিগ, আমাদের গোটা ক্রিকেট পরিবারে যারা আছেন, মিডিয়া, সমর্থকসহ সবাই, তাদের জানার কথা, আমি এমন কেউ নই যে সহজে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেই, তাতে অটল থাকার চেষ্টা করি।… কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, তখন সেটি সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

Powered by