দেশজুড়ে

আমরা চাই গবেষণায় সেরা হোক বিএসএমএমইউ : উপাচার্য

  প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২২ , ৭:৩৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বিএসএমএমইউয়ে থিসিস লিখনে কপি পরিহার বিষয়ক কর্মশালা
বিএসএমএমইউয়ে থিসিস লিখনে কপি পরিহার বিষয়ক কর্মশালা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় “থিসিস লিখন এবং কপি পরিহার ( ওয়ার্কশপ অন থিসিস রাইটিং এন্ড এভয়ডিং অব পেলগেরিজম) ” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ( ২৯ নভেম্বর ২০২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের চতুর্থ তলার লেকচার গেলারীতে এ কর্মশালার আয়োজন করে বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিক অনুষদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানত তিনটি কাজ- মেডিক্যাল শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা গবেষণা। মেডিক্যাল শিক্ষা, সেবার পাশাপাশি আমরা চাই গবেষণায় সেরা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য গবেষণার কাজে থিসিস লেখায় স্বচ্ছতা থাকা চাই। এজন্য সবার আগে কীভাবে থিসিস লিখতে তা জানানোর জন্য এ ধরণের সেমিনার কর্মশালার প্রয়োজন। গবেষণায় কাট কপি পেস্ট করা যাবে না। থিসিস পেপার জমা দেয়ার আগেই অবশ্যই সুপারভাইজারদের পরামর্শ নেয়া ও দেখানো উচিত। থিসিস পেপারে নকল ধরা পড়লে চাকরিও যাওয়ার মত শাস্তির মুখে পড়তে হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ইনডেক্সিং করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ছ মাসের মধ্যে এটি ইনডেক্সিং করা হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গবেষণার কাজে তরুণ শিক্ষকেদর এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য যারা দেশে প্রখ্যাত গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সহকারী অধ্যাপকদেরকে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া ও মূল্যায়ন করা হয় সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেয়া প্রয়োজন। তরুণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গবেষকদের কাজে লাগাতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে বলেছিলেন, গবেষণার দরজা যেন বন্ধ না করি। গবেষণার জন্য সকল দরজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাই মেনেই আমরা অবসরপ্রাপ্ত গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণার দোয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত করা আছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, নিয়ম হল প্রতি দশ বছর পর কোর্স কারিকুলাম আপডেট করা। বর্তমান কোর্স কারিকুলাম দশ বছরের বেশী হয়ে গেছে। আমি চাই কোর্স কারিকুলাম আপডেট হোক। আমি শুরু করে যেতে পারলে হয়ত এটি শেষও হবে। কোর্স কারিকুলাম আপডেট করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল কোপাস ইন্ডেক্সিং করা হবে। এজন্য দরকার মানসম্পন্ন গবেষণা প্রয়োজন। একাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

কর্মশালায় বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ মোজাম্মেল হক ‘টাইটেল এন্ড এবস্ট্রাক্ট’, প্যাথোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান গবেষণার ‘ভূমিকা’, এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম গবেষণায় ‘রেজাল্ট এন্ড ডিসকাশনস’ , ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গবেষণায় ‘রেফারেন্সিং এন্ড এভয়ডিং অব পেলগারিজম’ বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা.দেবব্রত বণিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফারুক হোসেন প্রমুখসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Powered by