প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২২ , ৪:৪১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের এক মাস দুই দিন পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজেনর দেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে মরদেহের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়। গত রোববারও একই শেড থেকে একটি দেহবাশেষের খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছিলো। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১ জনে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ডু থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুপুরে বিধ্বস্ত শেডের ভেতরে থাকা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন ডিপোর কর্মীরা। এ সময় তারা ডিপোর লম্বা শেডের ভেতরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় একটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় দেখতে পান। ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা ডিপোতে পৌঁছে পোড়া হাড়গোড়গুলো উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা মাথার খুলি ও হাড়গোড়গুলো একজনের বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৪ জুন শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ডু ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিক ভর্তি একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। এ ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে ছয়টি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
তদন্তকারীরা বলেছেন, ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিএম কনটেইনার ডিপোর আট কর্মকর্তাকে সুনিদিষ্ট আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।