ঢাকা

আশুলিয়ায় নিজ বাসায় দেহ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:০৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় নিজ বাসায় দেহ ব্যাবসা পরিচালনার অভিযোগ

ঢাকার আশুলিয়ার নিজ বাসায় পতিতাদের দিয়ে দেহব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে মো. জহির শেখ (৪৫) নামে এক বাড়ি-মালিকের বিরুদ্ধে। বাড়ি মালিকের নিয়ন্ত্রণে এই দেহ ব্যবসা পরিচালনা শুধু রাতের আধারেই নয় নিয়মিত চলছে দিনের আলোতেও। স্থানীয়রা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়। তবে মসজিদের পাশে এই ধরনের নোংরা কাজের প্রতিকার চান তারা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি মসজিদের পাশেই একটি দুইতলা ভবনে পতিতা দিয়ে এসব নোংরা কাজ পরিচালনা করানো হচ্ছে। জহির শেখ ও জাহানারা ওরফে ভুটকি দম্পতির মালিকানাধীন এই বাড়িতে নিয়মিত যৌন ব্যবসা পরিচালিত হয়। যার কারণে সব সময় ৪/৫ টি রুম খালি রাখা হয়। বিশেষ কৌশলে এবং গোপনীয়তার সাথে জমজমাট চলছে যৌন ব্যবসা। নিজেদের বাসায় কখনো নিজের ছেলের বন্ধু আবার কখনো স্বামীর বন্ধু বলে চলে চেনা-অচেনা মানুষের আনাগোনা।

কেউ জানতে চাইলে বন্ধু বলে জানান এলাকাবাসীকে, সেখানে দিনে রাতে যাতায়াত করে বিশেষ ধরনের খদ্দের। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসবের অন্তরালে থাকে যৌন ব্যবসা। আর এ ব্যবসার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন ও নিজস্ব দালাল চক্র।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের বাড়ির জনৈক ব্যক্তি বলেন, সব সময় এই বাড়িতে দেহ ব্যবসা চলে। বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় বড় বড় লোকজন হাত করে এ ব্যবসা করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারে না। যদি কেউ বলে তাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। মান-সম্মানের ভয়ে কেউ কিছু বলে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের বাড়ির আরেক বাসিন্দা জানান, এলাকাবাসীর উদ্যোগে আমরা বহুবার ঐ বাড়ি থেকে দেহ ব্যবসা বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়েছি, কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে আমরা দুর্বল হয়ে ফিরে এসেছি।

এলাকার মাদকসেবী, প্রভাবশালী, কিশোর গ্যাং ও লিডারসহ বখাটে শ্রেণির যুবকেরা তাদের পক্ষে থাকার কারণে আমরা নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষেরা তাদের কুকর্মের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়ত তাদের এই যৌন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. জহির শেখ বলেন, আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ, আমি এখানে ৩০ বছর যাবৎ বাড়ি করে বসবাস করছি।

এছাড়াও তিনি এবং তার ছোট ছেলে জাকির বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বলা শুরু করে। দেহ ব্যবসার কথা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রশ্নের জালে আটকে গিয়ে বলেন, আগে এ ব্যবসা চলতো কিন্তু কিছুদিন ধরে বন্ধ আছে, আমার ছেলেরা এসব পছন্দ করে না।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, বিষয়টি আমার জনা নেই, তবে ঘটনাস্থলে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by