দেশজুড়ে

ইস্পাহানি এবং টাম্পাকো গ্রুপের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদন

  প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২৩ , ২:৪১:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ইস্পাহানি এবং টাম্পাকো গ্রুপের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদন

বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপ সম্প্রতি তাদের প্যাকেজিং ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্যাকেজিং শিপ্লের অন্যতম অগ্রদূত টাম্পাকোগ্রুপের সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদন করেছে। টাম্পাকোগ্রুপের সহায়ক প্রতিষ্ঠান টাম্পাকোফয়ল্‌স লিমিটেড-এর গুরুত্বপূর্ণ মাইনোরিটি স্টেকে ইস্পাহানি  গ্রুপের করা এই ইক্যুইটি বিনিয়োগ এই দুই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। ৩ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ঢাকায় ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের প্যাকেজিং শিল্পে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান টাম্পাকোফয়ল্‌স লিমিটেড ১৯৭৮ সাল থেকে সুনামের সাথে উন্নত মানের পণ্যে উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত। টাম্পাকোফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং এর জন্যে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এবং সাম্প্রতিক কালে তাঁরা বিশ্বমানের প্যাকেজিং সেবা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। টাম্পাকোর রয়েছে আইএসও  (ISO), কিউএমএস (QMS), এফএসএসসি (FSSC), এসইডিইএক্স (SEDEX) সনদ, এছাড়া সেরা উৎপাদন প্রক্রিয়া (GMP) অনুসরনের মাধ্যমে তারা সুস্থ কর্মস্থল নিশ্চিত করে। তাপ শক্তি ও পানির পুনঃব্যবহার করে এবং প্রাকৃতিক আলোর সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে টাম্পাকো টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করে।

ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মির্জা সালমান ইস্পাহানি এ উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্যাকেজিং শিল্পে  টাম্পাকোফয়ল্ স স্বতন্ত্র উপস্থিতি, সুনাম এবং উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। আমরা বিশ্বমানের টেকসই প্যাকেজিং শিল্প বিকাশে টাম্পাকোকেসহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

টাম্পাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ  অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব সাফিউস সামি আলমগীর ইস্পাহানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ইস্পাহানি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল প্যাকেজিং শিল্পে অমূল্য বাজার অভিজ্ঞতা, আর্থিক সম্পদ এবং ব্যাপক ব্যবসায়িক দক্ষতা নিয়ে এসেছে। আগামীর ব্যবসায়ীক যাত্রার জন্য আমরা ইস্পাহানিকে আমাদের আদর্শ অংশীদার মনে করি”।

জনাব আলমগীর আরও জোর দিয়ে বলেন, ” এই অংশীদারিত্ব শুধু প্যাকেজিং খাতে আমাদের সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ উদ্যোগ বাড়ানোর উপায়ই নিশ্চিত করে না বরং সংশ্লিষ্ট শিল্পের প্রবৃদ্ধির দ্বারও উন্মুক্ত করে দেয়”।

এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্যাকেজিং শিল্পের মধ্যে কর্পোরেট গভর্নেন্স বৃদ্ধি, মান সৃষ্টি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উভয় গ্রুপের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by