ময়মনসিংহ

ঈদকে সামনে রেখে বকশীগঞ্জে জমে উঠেছে তাঁতপল্লী

  প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৪ , ৭:২৭:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদকে সামনে রেখে বকশীগঞ্জে জমে উঠেছে তাঁতপল্লী

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাখিমারা জিগাতলা এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁতপল্লীর শ্রমিকেরা। বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন তারা। তাঁতের খটখট শব্দে এখন মুখরিত পাখিমারা জিগাতলা তাঁতপল্লী এলাকা। ২৪ ঘণ্টাই পার করছেন ব্যস্ততার মধ্যে শ্রমিকরা।

বকশীগঞ্জের পৌর শহরের পাখিমারা জিগাতলা এলাকায় গড়ে উঠেছে দেশীয় তাঁতের জামদানি শাড়ির তাঁতশিল্প। প্রায় শতাধিক তাঁত মালিকের এক সহস্রাধিক মানুষ এই শিল্পের সাথে জড়িত। কেউ বুনছেন বাহারি রঙের শাড়ি, কেউ শাড়ির গায়ে তুলছেন বাহারি নকশা, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, নজরকাড়া কারুকাজ, নতুনত্বের ছোঁয়ায় তৈরি করার কারণে দেশীয় তৈরি জামদানি শাড়ির প্রতি নারীদের রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ।

কাপড়ের ডিজাইন ও সুতার পার্থক্য ভেদে প্রতিটি জামদানি শাড়ি দুই হাজার টাকা থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তাঁতপল্লীর মালিকেরা। এছাড়া এ বছর বেনারশি, সিল্ক, জামদানিসহ বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ির চাহিদা বেশি রয়েছে বলেও জানান তারা। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাত-দিন। চাহিদা বাড়ায় বাড়তি লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরাও।

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বকশীগঞ্জের তাঁতের শাড়ি। এরই মধ্যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খরিদদারদের পাশাপাশি খুচরা ক্রেতারাও শাড়ি কিনতে ভিড় করছেন পাখিমারা জিগাতলা তাঁতপল্লীতে। তাঁত শ্রমিকরা জানান, বাড়তি আয়ের আশায় আমরা ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত এক করে কাজ করছি। যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু আনন্দে ঈদ করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এ ব্যাপারে স্বর্ণা জামদানি মালিক হাসান সবুজ জানান, এবার জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় আমরা জোগান দিতে পারছি না। দামি একটি শাড়ি তৈরি করতে নক্শা অনুযায়ী প্রায় সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগে।

এছাড়া উচ্চমূল্যে সুতা ও শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শাড়ির দাম বেশি পড়ে। যার কারণে শৌখিন ক্রেতারাই এই শাড়ি ক্রয় করে থাকেন বেশির ভাগ। তবে অন্যবারের তুলনায় এ বছর শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by