রংপুর

উলিপুরে কপির বাম্পার ফলনের আশা, পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৬:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

উলিপুরে কপির বাম্পার ফলনের আশা, পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশায় প্রান্তিক চাষিরা পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আগাম জাতের কপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ফলন বেশি হওয়ায় বিশেষ পদ্ধতিতে রোপণ করা আগাম জাতের এ বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশা করছেন চাষিরা। ফলে শীত শুরুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে নানা মুখি ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সফলতার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব চাষাবাদ করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সাফল্যের সাথে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন এসকল এলাকার শতশত চাষি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় ১টি পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১ হাজার ৫০ হেক্টর। তার মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ ও রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কপি চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া অব্যহত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে কপি চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তারা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোন জমি আর পতিত নেই বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমাহর। চাষীরা আগাম জাতের ধান কেটে আগাম জাতের কপি রোপণ করেছেন।

আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও কপিতে কোনো প্রকার রোগ বালাই না হলে এবার কপির বাম্পার ফলন হবে। কপি চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন চাষীরা। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্বপ্নের ফসল ফুলকপি ও বাঁধাকপি ব্যাপক হারে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। যে সকল চাষির নিজস্ব জমি না থাকলেও তারা অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত সারা বছর আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দলদলিয়া গ্রামের কপি চাষি কামরুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের ৩ হাজার ২’শত টি কপির চারা লাগিয়েছেন ২০ শতক জমিতে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। কপির ফলন হওয়া পর্যন্ত আরও খরচ হবে প্রায় ৮ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলন হলে পোকামাকড়ের আক্রমণ না হলে এবং বাজারদর ভালো থাকলে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন। তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব শীতকালীন সবজি কপি চাষে।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কপি চাষিদের মধ্যে সাখাওয়াত আলী, বকুল মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, জয়নাল আবেদিন, রিয়াজুল ইসলাম, নুর আলম সিদ্দিক ও নুরনবী সহ আরও অনেকে জানান, আগাম জাতের কপি চাষে দ্বিগুণ লাভ করা যায়। আগাম জাতের কপি বাজারে অনেক চাহিদা থাকে দামও ভালো পাওয়া যায়। তারা আরও বলেন, এবারে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় কপির বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, অল্প খরচে অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ করা যায় শীতকালীন সবজি কপি চাষে। উপজেলায় যে সকল চাষিরা আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন তারা অনেক লাভবান হবেন। বর্তমান বাজারে কপির অনেক চাহিদা রয়েছে দামও ভালো রয়েছে। আগাম জাতের কপি চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by