চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

  প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২১ , ৪:৩৫:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লঘুচাপের কারণে সাগরে জোয়ারের পানি ৩-৪ সেন্টমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঝোড়ো বাতাস। এর ফলে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী, পোকখালী, ভারুয়াখালী, গোমাতলী, ঈদগাঁও, ইসলাম, পেকুয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, উখিয়ার জালিয়াপাড়া, ইনানী, টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাংবারাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত সাত শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তখন আমরা তাদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছফা বলেন, ২০ গ্রামের মানুষ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে এসব গ্রামে। এসব গ্রামের মানুষের জীবন জোয়ার-ভাটায় ভাসছে।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসৌদ্দজা নয়ন বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে কিছু ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে। তবে কয়টি ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে তা জানতে সময় লাগবে। বিচ্ছিন্ন কিছু পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। তবে হতাহত হয়নি তেমন।

কক্সবাজার আবহাওয়া দফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের কারণে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার উপকূলে যে সমস্ত নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by