প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২১ , ৫:০৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘গার্মেন্টস কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রফতানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, পোশাক খাতের বর্তমান বাস্তবতা চিন্তা করে গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা জরুরি।
মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘গত বছর সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তী সময়ে দুই ঈদে শ্রমিকরা যেভাবে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, আমরা সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছি। আমাদের আশঙ্কা, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অনেক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই শ্রমিকরা যদি শহর ছাড়েন, তবে তা দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, সার্বিক দিক বিবেচনায় রপ্তানিমুখী পোশাক খাতসহ বস্ত্র খাতের সহযোগী শিল্পগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হোক।’
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রফতানি আদেশ হারিয়েছে পোশাক খাত এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় রফতানি হারিয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ পোশাক খাতের এক হাজার ১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৮ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছে। ৯০ শতাংশ প্রত্যাহার হলেও মূল্যছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য মো. আব্দুস সালাম ছাড়াও ছিলেন– বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সদ্য নির্বাচিত বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান প্রমুখ। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে ও অর্থনীতির কল্যাণে গার্মেন্টস তথা রফতানি খাত খোলা রাখা জরুরি।’