রাজশাহী

করোনায় হারিয়ে গেছে পাবনা শহরের পেপার কর্নার

  প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২২ , ৭:১৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

রনি ইমরান, পাবনা :

শহরের বেশকয়েকটি স্থানে বা রাস্তার মোড়ে যেসব পেপার কর্নার ছিল সেগুলির বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও এসব পেপার কর্নারে সাদা কাগজের কালো অক্ষরে দুচোখ বুলিয়ে দাঁড়িয়ে পেপার পড়তো পাঠকরা। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার জাতীয় ও স্হানীয় দৈনিকের খবরা-খবর নিয়ে খবর নিয়ে আলোচনা শুরু হতো৷ ছাত্র যুবক মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকেই দেখা যেত পেপার কর্নারে পত্রিকার পাতায় চোখ বোলাতে।

শহরের হাউজ পাড়ার বিপরীতে আলিয়া মাদরাসা মোড়, বনমালীর গলি, প্রেসক্লাবের গলি, নিউমার্কেটের গলিসহ বেশ কয়েকটি স্থাানে পেপার কর্নার ছিল। সকালে হকার এসে পেপার কর্নারের জন্য বর্ধিত পত্রিকা সৌজন্যে সংখ্যা আঠা লাগিয়ে সাঁটিয়ে দিতেই হুমড়ি খেয়ে খবর পড়া শুরু করতো পাঠকরা। কিন্তু দীর্ঘ সময় মহামারী পরিস্থিতি থাকার পর স্বাস্থ্যবিধির বিধিনিষেধে অনেক পাঠকই পেপার কর্নার বিমুখ হয়েছে। তবে এখনো প্রিন্ট মিড়িয়ার কদর একটু কমেনি বলে জানান পাবনা শহরের নয়নামতির বাসিন্দা মো. চপল। তিনি প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে পেপার কর্নারে এসে নিয়মিত দৈনন্দিন খবরে চোখ বুলান।

শহরের চাঁদমারিতে মোড়ের পেপার কর্নারটি সবসময় প্রাণবন্ত থাকে বলে জানায় চপল। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ধরে আমার দৈনন্দিন নিয়মে পরিণত হয়েছে দিনে একবার হলেও কিছুসময়ের জন্য এই পেপার কর্নারে এসে পত্রিকা পড়ার। চপল মনে করেন ভার্চুয়াল থেকে প্রিন্ট মিডিয়া পড়া অনেক বেশি তৃপ্তিকর। এখানে এসে পেপার পড়া আর ঘরে বসে ভার্চুয়াল পড়া দুইটা দুই রকমের অনুভূতি।

পেপার কর্নারে এসে পত্রিকা পড়ার পাঠকরা ভার্চুয়াল সেই তৃপ্তিটা পায় না বলছিলেন চপল। করোনার দু’বছরে নতুন পরিস্থিতির মধ্য যেতে হয়েছে এই সময়ে অনেক পাঠক হারিয়ে গেছে বলে জানান ডা. রাম দুলাল ভৌমিক। তিনি বলেন, করোনার সময় অনেক পাঠক পেপার কর্নারের প্রতি বিমুখ হয়েছে। তবে পেপার কর্নারগুলো চালু থাকলে ভালো হতো অনেকেই দেশের খবর জ্ঞান অর্জন করতে করতে পাড়তো। ভালো সময়ে কিছু সময় ব্যয় হতো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by