খুলনা

খুলনার পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের অসহায় মানুষের চাপা আর্তনাদ

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৫০:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মানুষের মধ্যে চাপা আর্তনাদ দেখা গেছে। পাইকগাছার থানাধীন ৯ নং চাঁদখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে দেবদুয়ার আদর্শ গ্রাম(গুচ্ছ গ্রাম) এ মোট ৬৫ টি ঘর রয়েছে, এবং ৩৫০ জন মানুষ বসবাস করে উক্ত গ্রামটি’তে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ২০০১ সালে তৈরী আদর্শ গ্রামের ঘরগুলো টিনের ছাউনি ও সিমেন্ট এর খুটি’দারা তৈরী হয়েছিলো, কিন্তু প্রায় ২ যুগ অতিবাহিত হওয়ায় ঘরের ছাউনির টিন ও খুটি সম্পূর্ণরুপে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ফলে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় বসবাসরত অসহায় ও গরীব মানুষগুলোর। পাশাপাশি তৎকালীন সময়ে গ্রাম’টিতে বসবাসরত ৬৫ টি পরিবারের জন্য ঘরের সাথে করা হয়েছিলো টিনের বেড়া দিয়ে ৮টি বাথরুম যা কিনা কালের পরিক্রমায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে বর্তমানে বাথরুমগুলো ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ায় একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ঝুকির রয়েছে প্রায় ৩৫০ জন বসবাসরত মানুষ ওন্যদিকে সৌচকাজের জন্য প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসহায় মানুষগুলোর।
এ প্রতিনিধির নিউজ সংগ্রহ’কালে দেখা মেলে কয়েকজন অসহায় বৃদ্ধা মানুষের আহজারি তাদের কান্না মাখা মুখ ও আকুতি ভরা কন্ঠে বলে উঠলো বর্ষা মৌসুম আসলে আমাদের বেশি ভোগান্তি হয় কখনো কখনো সারারাত ধরে জেগে থাকতে হয়- ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুমাতেও পারিনা! স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বিদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাহারা অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে একদিকে যেমন ঘরের চালের টিন ও খুটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বসবাসে দুর্বিষহ কষ্ট, অন্যদিকে নেই খাওয়ার জন্য সুপীয় পানি,নেই বাথরুম ও চলাচলের রাস্তা, সবমিলিয়ে তাদের বক্তব্য আমরা গরীব হয়ে এই পৃথিবীতে জন্মানো যেন আমাদের পাপ। এমতাবস্থায় উক্ত গ্রামবাসী সরকার’সহ স্থানীয় প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর কাছে আকুল আবেদন সামনে আগত বৃষ্টিকাল আসার আগেই উপরেউল্লেখিত সমস্যা গুলো নিরসন করবেন বলে, জোর দাবী জানিয়েছেন গ্রামের অসহায় মানুষগুলো। এবিষয়ে ৯নং চাঁদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরেজমিনে যেয়ে খুব কাছ থেকে আদর্শ গ্রামবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন উপলব্ধি করেছি যা কিনা আমাকে রীতিমত ব্যাথিত করেছে এবং আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম’কে অবগত করেছি, আমি চাই সামনে বৃষ্টি মৌসুম আসার আগে আমার ইউনিয়নের এই অসহায় গরীব মানুষগুলোর জন্য সরকার’তথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম একটা সুব্যবস্থা করবে বলে আমি আশা রাখি।
উপরেউল্লেখিত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে আমরা উক্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ’কে জানিয়েছি, এবং সংস্কার বাজেটের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by