ঢাকা

গাজীপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই চলছে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ

  প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩২:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই চলছে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ

নতুন ভবন নির্মাণে শ্রমিক এবং পথচারীদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মানছেন না অনেক ভবন মালিক এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গাজীপুর সদর উপজেলায় অভিযোগ রয়েছে, ভবন নির্মাণে কোন নজরদারি না থাকায় অধিকাংশ ভবন মালিকরা কোন আদর্শ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করছে না। 

গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মনিপুর বাজার একটি অন‍্যতম ব‍্যস্ত এলাকা। এখানে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠাতে হাজার হাজার লোক চাকুরী করছে এই এলাকায়।আর এই শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের চলাচল ঘঠছে হোতাপাড়া হতে মনিপুর হয়ে মির্জাপুর ও পিরুজালী এই সড়কে। সকাল হতে গভীর রাত অবধি চলাচল করছে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন এবং লোকজন।

আর মনিপুর বাজারে ব‍্যস্ততম সড়কের পাশেই বেশ কিছুদিন যাবত কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মাণের কাজ চলছে লতিফ মাস্টার প্লাজা নামের ভবনটিতে। এই ভবনটির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খোকন এবং ভবনটির নির্মাণ কাজ করছে লোকাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পাচঁ তলা ভবনের ছাদ ঢালাই দেয়ার কাজ চলছে বাঁশের খুটি দিয়ে।তার উপেরে নিচ থেকে রড উঠানোর কাজ করছে ছ্রমিকরা।তাদের নিই কোন সেফটি বেল্ট নেই মাথায় হেলমেট এভাবেই কাজ করছে তারা। ছাদের জন‍্য রড উঠানো হচ্ছে রশিতে বেধে, আর নিচের তলায় দোকানে এবং রাস্তায় অবাধে চলাচল করছেন নারী-পুরুষসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

 সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই চলছে বহুতল ভবন নির্মাণকাজ। ফলে যেকোন সময় শ্রমিক ও পথচারীদের ঘটতে পারে ছোট বড় যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা । 

নিরাপত্তার বিষয়ে এই সড়কে চলাচল করা পথচারীরা বলেন, কর্মস্থলে যেতে অথবা বাড়িত ফিরতে আমাদের এই সড়কটিই ব‍্যবহার করতে হয়। কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকা সত্ত্বেও এখানে বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় দায়িত্ব নিবে কে।তাই আমরা চাই নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে তার পর ভবনের নির্মাণ কাজ করা হউক।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-বিএনবিসিতে বলা আছে, নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাথায় হেলমেট, কোমরে সেফটি বেল্ট, ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহারের কথা। এছাড়া নির্মাণ কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাইলনের জাল দিয়ে পুরো ভবন ঢেকে দেয়া। সড়ক থেকে কমপক্ষে ১ দশমিক ৫ মিটার দূরত্বে নির্মাণাধীন ভবনকে অবশ্যই ২ দশমিক ৪ মিটার বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। ভবনের চারপাশে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে টিন দিয়ে অস্থায়ী ছাদ বানানোর বিধিও আছে কাগজে কলমে।

তবে এর ব্যতিক্রমটাই যেন বেশি চোখে পড়ে গাজীপুর সদর উপজেলার এই এলাকা জুড়ে।উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন বিল্ডিং নির্মাণের সময় নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিষয়ে বলেন,যেহেতু আমি ইমার্ত নির্মাণ কমিটির সভাপতি তাই আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতা আমার আছে। আমাদের কাছে কেউ যদি এই বিষয়ে লিখিত আকারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করে তাহলে আমরা যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মুরাদ আলী কে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

 বাংলাদেশ জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, আইন না মেনে ভবন নির্মাণকালে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার সব দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারীকে বহন করতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by