চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ

  প্রতিনিধি ৪ মে ২০২১ , ৮:৪৫:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে দাবি আদায়ে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সাত শ্রমিকের পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

একইসঙ্গে ওই ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে পৃথক দুটি রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

১৭ এপ্রিলের ওই (শ্রমিক-পুলিশ) সংঘর্ষে ৭ শ্রমিক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা-ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের দেওয়া রুলে।

ওই ঘটনায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের দেয়া আদেশে।

এছাড়া ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও চিকিৎসার খরচের বিষয়ে এস আলম গ্রুপ কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ওখানকার শ্রমিক ও এলাকবাসীকে যাতে কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে তিন কোটি ও আহত শ্রমিকদের দুই কোটি টাকা করে যৌথভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল হয়েছে।

গত মাসে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরিসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

অন্যদিকে, একই ঘটনায় ২৮ এপ্রিল অপর একটি রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।

আসক ও এই পাঁচ সংগঠনের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দা নাসরিন। অপরদিকে, আইনজীবী আরশাদুর রউফ শুনানি করেন এস আলম গ্রুপের পক্ষে। আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার অংশ নেন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন পাঁচজন শ্রমিক। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন। আহত হন ৩ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by