ঢাকা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ড্রোন ক্যামেরাই পর্যবেক্ষণ করা হবে

  প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৪ , ৬:৫০:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ড্রোন ক্যামেরাই পর্যবেক্ষণ করা হবে

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ এ বছর ড্রোন ক্যামেরা দ্বারা পুরো সৌধ এলাকাটি মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো.আবদুল্লাহিল কাফি।

রোববার বিকেল ৪টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে এসে প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের যিনি রাজা তারা কিন্তু নবীনগরে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন।

এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোত্তম আমাদের যে পরিকল্পনা সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে এ সময় তিনি বলেন, আমাদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। আমাদের রাস্তায় রোড কেন্দ্রিক পুলিশ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রিক আমাদের বড় একটি টিম কাজ করবে। এর বাহিরে এ বছর আমরা ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকার পরিস্থিতি আমরা মনিটরিং করবো। আমাদের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় কাজ করবে।তিনি আরও বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, তো সে রকম অনুষ্ঠান হতে পারে। তবে যেহেতু এটি রমজান মাস চলছে, তো সব কিছু আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশ এখানে একটি ভালো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

কেননা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য যেন কোথাও অনুষ্ঠিত না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসবেন ভোর বেলায়। তার আগে আমাদের স্মৃতিসৌধের যে মেইন গেট তার আশপাশে, ওই সময় সাধারণ দর্শনার্থীরা থাকতে পারবেন না৷ শ্রদ্ধা জানানো শেষে সৌধ এলাকা ত্যাগ করার পরপরই সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এবং আমাদের সড়কের যানচলাচলের স্বাভাবিক থাকবে।

কেননা এখানে সাধারণ যে নাগরিক বৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। তারা যেন দ্রুত আসতে পারেন এবং দ্রুত ফিরে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে ট্র্যাফিক পুলিশ কাজ করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ, ওসি ইন্টেলিজেন্ট মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক অমিতাভ চৌধুরী অমিত ও উপ-পরিদর্শক বিপুল হোসেনসহ ঢাকা জেলা পুলিশের আরো অনেকে।

এদিকে দিবসটি পালনের জন্য সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ চত্বরটি গণপূর্তের কয়েক’শ কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এক নতুন রূপ পেয়েছে।

আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার পর রং তুলির নতুন সাজে সেজেছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা। স্মৃতিসৌধ চত্বরের চারপাশের টবে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের রঙিন ফুল আর পাতা বাহারের গাছ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by