রংপুর

ডিমলায় সূর্যমুখী চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২১ , ৮:৩৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

মশিয়ার রহমান, ডিমলা (নীলফামারী) :

কৃষি প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন ও রাজস্বখাতের আওতায় এবার নীলফামারীর ডিমলায় ৩৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করা হয়েছে। জমিতে সূর্যমুখীর ফুল ফুটতে শুরু করেছে। ফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য কৃষকের পাশাপাশি পথচারীদেরও আকৃষ্ট করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২০-২১ অর্থ বছরের রাজস্বখাত, কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় ৩৫০ জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত সারও কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়।

তিনি আরো জানান, গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কৃষকেরা সূর্যমুখীর বীজ বপন করেছে এখন তা ফুটতে শুরু করেছে। ৫৫ থেকে ৬৫ দিনে সূর্যমুখী ফুল ফোটা শুরু করে। এটা পরিপক্ক হয়ে ১০৫ হতে ১১০ দিনে বীজ সংগ্রহ করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, সূর্যমুখীর তেল অতি স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগীর জন্য উপকারীও বটে। তিনি জানান, উপজেলায় এবার ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আশা করছি ৪০ হেক্টর অর্জন সম্ভব হবে।

এই কর্মসূচি যদি সফল হয় তাহলে আগামীতে আমরা ব্যাপক আকারে সূর্যমুখীর চাষাবাদ বাড়াতে পারব। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারা যাবে।

এছাড়াও তেল জাতীয় ফসল হিসেবে সূর্যমুখীর চাষ নতুন মাত্র বহন করে। এতে করে দেশের জনগণের তেলের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই উপজেলার সব ইউনিয়নে কৃষকের মাঠে গিয়ে মনিটরিং করেছি ও পরামর্শ দিয়েছি। ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি ৫ হতে ৬ মণ করে বীজ পাবে কৃষকেরা। প্রতিমণ ২৪/২৫ শত টাকা দরে বিক্রি সম্ভব। এতে স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে কৃষকেরা লাভবান হবে।

উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর চৌধুরী জানান, ফুলের চেহারা ভাল আছে ইনশাল্লাহ, আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে। তবে কয়েকজনের বাগানে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তাদের বাগানে কিছু গাছে ছত্রাক ভাইরাস আক্রমন করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by