রংপুর

দিনাজপুরে আটক ৪২ জনের মধ্যে ১১ জনের নামে মামলা

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:৫৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দিনাজপুরের তিন উপজেলার (সদর, বিরল ও বোচাগঞ্জ) তিনটি মসজিদে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পৃথক অভিযানে আটক ৪২ জনের মধ্যে তিন থানায় ১১ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানায় পাঁচজন, বিরল থানায় তিনজন ও বোচাগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। আসামিদেরকে দুপুর আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতের আদেশ এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মহারাজার মোড়ের পাশে মেদ্যাপাড়ায় বায়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ থেকে ১২ জনকে আটক করা হলেও মামলা হয়েছে পাঁচজনের নামে। বাকি সাতজনের মধ্যে কতজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং কত জনকে সিটিটিসির সদস্যরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন তা জানা যায়নি

একই সময়ে বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৪ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়নের বড়য়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত মসজিদ থেকে সন্দেহভাজন ১৩ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১০ জনকে ছেড়ে দিয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন এলাকার মোস্তফা খানের ছেলে মো. জুনায়েদ খান (২৫) রংপুর সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া মহল্লার নকিমদ্দীনের ছেলে আবু সাহেদ হাসান রুপম (২৮)ও দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ বড়য়া দৌলা গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে  মো. হুমায়ুন কবীর (২৬)।

এছাড়াও বিরল উপজেলার বিরল বাজার জামে মসজিদ থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। বিরল থানার এসআই নাজমুল হুদা বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এদের মধ্যে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন- রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২২), বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর দলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ওয়াহেদুজ্জামান (২৩) এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর নতুন বাবু পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. সজল ওরফে সাব্বির (৩০)।

বাকি ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসবাদের জন্য দুইজনকে সিটিটিসির সদস্যরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।

দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি মোজ্জাফর হোসেন, বিরল থানার ওসি কামরুল ইসলাম ও বোচাগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবর রহমান মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং মানুষকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ পাওয়া গছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by