প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২১ , ৭:৫৯:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা পুলিশের ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনায় সুসজ্জিত গাড়িতে চেপে অবসরে গেলেন পুলিশ কনস্টেবল ত্রিদিপ নাফাক। দীর্ঘ ৩৯ বছর বিভিন্ন জায়গায় নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে কর্মজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে শেষ কর্মস্থল ধোবাউড়া থানা থেকে শুক্রবার দুপুরে তিনি চাকুরী জীবন থেকে অবসরে যান। এ উপলক্ষে ব্যতিক্রমী বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। চাকুরী জীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনেস্টবল পদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন । শুক্রবার ছিল তার চাকরির শেষ দিন।
বিদায় বেলা অনেকটাই ভারাক্রান্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু ধোবাউড়া থানা পুলিশের ভিন্ন রকমের আয়োজন করে বিদায়ের বিষাদটাকে আনন্দে ভরিয়ে দিলেন অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ। থানা থেকে বাড়ী পর্যন্ত পৌছে দিলেন ফুলের মালা ও নানা রঙের বেলুন দিয়ে সজ্জিত পুলিশের গাড়ীতে। যাওয়ার সময় তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহার সামগ্রী। পরে বাড়ি ফেরার সময় তার সন্মানে তাকে বহনকারী গাড়িটি বিভিন্ন রং বেরংঙ্গের বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। দেখে মনে হবে কোনো বর যাবে গাড়িতে। সেই গাড়ীর সামনে ছিলো ওসির ব্যবহৃত গাড়ী। পরে ওই গাড়িতে করে ধোবাউড়া উপজেলার হাজংপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে পরিবারদের কাছে নামিয়ে দিয়ে আসা হয়। কনস্টেবল ত্রীদিপ মারাক জানান, সেই ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেছিলাম। দীর্ঘ চাকরি জীবনে নানা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠে।
তবে আমার বিদায় বেলা আমার ওসি আবুল কালাম আজাদ স্যার এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা যেভাবে আমাকে সম্মান দেখালেন তা সত্যি বিরল। পুলিশের এমন বিরল সম্মান পাওয়ায় নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। ওসি, এসপি স্যারসহ সকল ঊর্ধ্বতন স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, একটা লোক তার সারা জীবনের মূল্যবান সময়টুকু বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে দিয়েছে। তাই তার বিদায় বেলা সামান্য সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। কনস্টেবল ত্রীদিপ মারাকের বিদায়ের সময় থানার সকল সদস্যেদের সাথে নিয়ে বিদায় জানিয়েছি। তার অবসর জীবনে যেকোনো সমস্যা হলে, ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এবং ধোবাউড়া উপজেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম এবং আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে জানানোর জন্য বলেছি। ইতিমধ্যে আমার সাথে সাংসদ জুয়েল আরেং এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম এর সাথে কথা হয়েছে। আমরা সর্দাই উনার পাশে থাকার চেষ্টা করবো।