চট্টগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়ি গরু চোরাকারবারিদের হামলায় আহত ৮ বিজিবি

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:৩৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে চোরাই পথে আনা বর্মিগরু জব্দকরে আনার সময় ১১ বিজিবি টহল দলের উপর হামলা চালিয়েছে গরু চোরাকারবারিরা।
শনিবার ( ৮ এপ্রিল) রাত ৯ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কের উপর পূর্বকাউয়ারখোপের মাস্টার আবদুল্লাহর বাড়ির পাশে ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় ৮ বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের কক্সবাজার  সদর হাসপাতালে  রেফার করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি আত্মরক্ষায় গুলি চালালে ১ গরু টানা শ্রমিক নিহত হন। নিহতের নাম আবদু জাব্বার (২৯) সে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড়ের  মৃত জাকের আহমদের ছেলে।
আহত বিজিবি সদস্যরা হলো, হাবিঃ মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম (৩০),নায়েক মোঃ লুৎফর রহমান (৩২)ও নায়েক মোঃ আবুল কালাম (২৮)। তারা বর্তমানে কক্সবাজার  সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকীরা নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ঘটনাস্থল হতে  একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি ক্রিস,একটি দা উদ্ধার করে বিজিবি।
১১ বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিজিবির নিয়মিত ১টি টহল দল খবর পান রামু কাউয়ারখোপ বাজারের পূর্বপাশের ৬টি বার্মিজ চোরাইপথের গরু পাচার হচ্ছিলো । যে গুলো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে আনা। দলটি গিয়ে  সে গুলো জব্দ করে  । জব্দকৃত গরু গুলো নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাটালিয়ন সদরে নিতে চাইলে,বাঁধা দেয় চোরাকারবারীর দল। একপর্যায়ে  চোরাকারবারী দলের সদস্য আবদু জাব্বারের  সাথে আশপাশের তাদের স্বজনরাও যোগ দেয়। প্রায় ৩ শতাধিক লোক বিজিবিকে হেনাস্থা করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছুঁটতে থাকে বিজিবির উপর। বিজিবি ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁটে। কারবারীর দল আরো উত্তেজনা সৃষ্টি করে বিজিবির হামলা শুরু করলে বিজিবি গুলি ছুটে।
এতে এক গরু টানা শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন।
অন্য একটি সূত্র দাবী করেন এ গরুটানা শ্রমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম বলেন,তার ১ টি টহল দলের উপর চোরাকারীরা হামলা চালালে টহল দলের সবাই আহত হন। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ককসবাজার সদর  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো বরেন,সম্প্রতি সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গবাদী পশু চোরাচালান বেড়ে গেছে।  এ অবস্থায় দেশীয় প্রাণীজ সম্পদ শিল্প রক্ষার্থে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ১১ বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এই অভিযানে ১,৩০০ গরু  বা এর সমমূল্য ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা করেছে।
উল্লেখ্য এর আগেও গরু চোরাচালান কারবারিরা পুলিশ, বিজিবির উপর হামলা করে চোরাই গরু চিনিয়ে ছিয়েছিল যাহা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা এন্ট্রি হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by