দেশজুড়ে

নিখোঁজের ১৯দিন পর আশুলিয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার, মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার ৩

  প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২১ , ৫:৩৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার মঈন খান।

মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ 
ঢাকার আশুলিয়ায় নিখোঁজের ১৯দিন পর মিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৬) নামের এক কলেজ অধ্যক্ষের ৫টুকরা লাশ উদ্ধার করেছেন র‌্যাব। এই ঘটনায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে।
সোমবার দুপুর ১টায় আশুলিয়ার বেরন ছয়তলা রুপায়ন স্বপ্ন নিবাস আবাসনের সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার মঈন খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে দুপুর সারে ১২টার দিকে ওই স্কুল এন্ড কলেজের আঙ্গিনা থেকে কলেজ অধ্যক্ষের ৫টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাভার রেসিযেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নিহত অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের ফাইল ছবি
নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের শর্ত বর্মণের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বেরন ছয়তলা রুপায়ন স্বপ্ন নিবাস আবাসনের সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন ও তার দুই বন্ধু মিলে দুই বছর আগে আশুলিয়ার ছয়তলা এলাকায় সাভার রেসিডেনন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকেন মিন্টু চন্দ্র বর্মন। কিছুদিন পর থেকেই তারা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা, ভাল শিক্ষক হওয়ার হিংসাসহ নানা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গত ৭জুলাই মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার বন্ধু মোতালেব, রবিউল ও তার ভাগ্নে বাদশা। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩জুলাই সন্ধ্যায় কোচিং শেষে ওই স্কুলের ১০৬নম্বর কক্ষে মিন্টুকে ডেকে নিয়ে যায় মোতালেব ও বাদশা। কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই প্রথমে তারা মিন্টুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে তার মৃতদেহ ছয় টুকরো করে মাথা রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। বাকি পাঁচ টুকরো ওই স্কুল এন্ড কলেজের আঙ্গিনায় পুতে রাখে।
র‌্যাব আরো জানান, গত ১৩ই জুলাই থেকে নিখোঁজ হন অধ্যক্ষ মিন্টু। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেও তাকে পাননি। একপর্যায়ে মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মন ২২শে জুলাই আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। পরে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে র‌্যাব অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে রোববার রাতে রবিউলকে রাজধানীর আব্দুল্লাপুর থেকে, তার ভাগ্নে বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে এবং মোতালেবকে আশকোনা থেকে গ্রেফতার করে। পরে রবিউলের দেওয়া তথ্য মতে, স্কুলের আঙ্গিনা থেকে মিন্টুর শরীরের পাঁচটি অংশ উদ্ধার করা হয়। এসময় স্কুলে তল্লাশী চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত শাবল, দাঁ, হাতুড়ি এবং রক্ত মাখা জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করেন। এছাড়া ওই অধ্যক্ষের মাথার অংশ আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দিয়েছে হত্যাকারীরা। মাথা উদ্ধারে সেখানে কাজ করছে র‌্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় র‌্যাবের ফরেনসিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আশুলিয়া থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পদস্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by