বরিশাল

নিখোঁজ তাবাসসুমের লাশ মিলেছে কফিনে

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৫:৫৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

পাথরঘাটা ও বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাফেজ তুহিন শুক্রবার তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে অভিযান-১০ লঞ্চে ফিরছিলেন পাথরঘাটা। লঞ্চে যখন আগুন লাগে তখন প্রাণ বাঁচাতে আড়াই বছরের সন্তান তাবাসসুমকে নিয়ে স্ত্রীর হাত ধরে ঝাঁপ দেন নদীতে। কিন্তু তীরে এসে দেখেন শিশু তাবাসসুম তার কোলে নেই। কখন যে তার হাত ফসকে নদীতে নিরুদ্দেশ হয়েছে সেটা টের পাননি বাবা তুহিন।

তাবাসসুমের বাবা তুহিন পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সন্তানের খোঁজে কখনো হাসপাতালে কখনো নদীতীরে ছুটে বেড়ান তুহিন ও তার স্ত্রী।

শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত শিশু তাবাসসুমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে অবশেষে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে এসে তাবাসসুমের খোঁজ নেন তার স্বজনরা। সেখানে এসে জানতে পারেন শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলো বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে জানাজা দিয়ে সদরের পোটকাখালীতে দাফনের জন্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে স্বজনরা কফিন থেকে শনাক্ত করে শিশু তাবাসসুমের মরদেহ। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা পরিবারের লোকজন।

পরে তাবাসসুমের লাশ পাথরঘাটা নিয়ে আসে তার পরিবার। বিকাল সাড়ে তিনটায় পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব গুটাবাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মরদেহ শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানার পর তাবাসসুমের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন এবং দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ভোরের দপর্নকে বলেন, শিশু তাবাসসুমের মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছে পরিবার। তাই সরকারিভাবে দাফন না করে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে

সাকিল আহমেদ
পাথরঘাটা বরগুনা

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by