দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় নির্যাতনের শিকার শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি!

  প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২০ , ৭:২৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের রামসিদ গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে প্রতিপক্ষের নির্যাতনের শিকার শিশু রবিন হাসান(১৩) ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছে। শনিবার আটপাড়া থানা পুলিশ আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র থেকে ওই শিশুটিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটপাড়ার রামসিদ গ্রামে মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রবিন হাসান প্রতিবেশী ফরেস্ট অফিসার মো. আবুল ফজলের পালিত মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগে গত ১১ মে বাড়িতে ধরে বেধরক মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করেন।

বিষয়টি টের পেয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার লোকজন রবিন হাসানকে উদ্ধার করে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ছেলেকে নির্যাতন করায় ওইদিন রাতেই মো. আবুল ফজল, শফিক মিয়া, রহমত উল্লাহ, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য মোজাম্মেল হোসেন আটপাড়া থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়রি করে।

অন্যদিকে পালিত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আবুল ফজলের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রবিন হাসানের বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় রবিন হাসানকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠায়। মেয়েকে বাদীর হেফাজতে দিয়েছে পুলিশ। 

রবিন হাসানের বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমি গরীব মানুষ, সামান্য আম পাড়ার অপরাধে আমার ছেলেকে অমানষিক নির্যাতন করেছে। মামলা দিতে গেলে পুলিশ জিডি নিয়েছে। আমার সাথে শত্রুতার কারনে ছেলেকে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। তারার (বাদী পক্ষের) অনেক টাকা আছে। জামিন করাতে গেলে উকিল অনেক টাকা চায়, যা দেয়ার সামর্থ আমার নেই। 

ধর্ষণ মামলার বাদী জাহানারা বেগম নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রবিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মামলা করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। শাসন করতে গিয়ে ছেলেটিকে চর তাপ্পর দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। 

আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, দুই পক্ষ একে অপরের আপনজন। ছেলেটিকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে জিডি করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষা করিয়ে মায়ের (বাদী) হেফাজতে রাখা হয়েছে।         

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by