চট্টগ্রাম

পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা নাছির দুদকের মামলায় কারাগারে

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:২৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা নাছির দুদকের মামলায় কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। কারাগারে পাঠানো ওই কর্মকর্তার নাম নাছির উদ্দিন। তিনি পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নাছির উদ্দিন আত্মসমর্পণ করতে আসলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ড.বেগম জেবুননেছা।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেছিল দুদক। তিনি ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

এদিকে মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, নাছির উদ্দিন প্রথমে অস্থায়ী ‘সিকিউরিটি গার্ড’ পদে পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে যোগদান করলেও পরে ১৯৮৬ সালের ২৩ আগস্ট ২৩০ টাকা বেসিক বেতনে ‘পিয়ন’ হিসেবে চাকরি নিয়মিত হয় তার। ২০১৪ সালের ‘ট্যাংক লরী হেলপার’ থেকে ‘চেকার’, পরের ছয় মাসের মাথায় ‘সুপারভাইজার’ পদোন্নতি পান।

নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকের কাছে তিনি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন। এরমধ্যে আনোয়ারার চাতরীতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৫০ টাকায় ৫২ শতক কৃষি জমি ও আলোচ্য জমিতে ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করেন। অথচ দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপে কমিউনিটি সেন্টারটি নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৪৪ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৪ টাকা গোপন করেন। এছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ডপত্র যাচাইককালে তার নিজ নামে ২৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদ ক্রয়ের তথ্য পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৪ টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন।

এর বাইরে তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু যাচাইকালে তার নামে মোট ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ২২০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে তিনি লাইফ ইন্সুরেন্স, পলিসি স্কিম, মেসার্স আমিন নামে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও জমা রাখেন। এখানে তিনি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৬ টাকা অস্থাবর সম্পদ গোপন করেন। সবমিলিয়ে তিনি ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন কার্যালয়টির উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ সবুজ হোসেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by