দেশজুড়ে

ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে ডা. সিদ্দিকুর রহমান এর হুঁশিয়ারি

  পার্থ দাস ২৩ মার্চ ২০২৪ , ৭:২৩:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে ডা. সিদ্দিকুর রহমান এর হুঁশিয়ারি

নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, “আমি ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও ওসি মহোদয় থেকে শুরু করে সকল দায়িত্বশীলদের বলেছি ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে। আপনারা যদি আইন বাস্তবায়ন করতে না পারেন তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। অন্য জায়গায় ট্রান্সফার নিয়ে চলে যান। এখানে তো আপনাদের কাজ নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে আইনের বাস্তবায়ন করা। সেটা করতে না পারলে আপনাদের এখানে থাকার দরকার কি।” সাংসদ ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নির্বাচনী এলাকা বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।

এই বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করাসহ ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করলে তা নজরে নেন এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। পরে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩ মিনিট ৩ সেকেন্ড সময়ে ওই লাইভ-এর পর তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পুকুর খনন বন্ধে এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর বক্তব্যে স্বস্তি প্রকাশ করে স্থানীয় কৃষকেরা। তবে এমপির এই বক্তব্যের যথাযথ বাস্তবায়ন চায় ভুক্তভোগী কৃষকেরা। লাইভে এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী আরও বলেন, “বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি।

এ খাঁটি মাটির এক টুকরোও আমরা কাটতে দিবো না। আমি সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করছি এটা বন্ধ করেন। নচেৎ আমি আমার জনগণকে বলতে বাধ্য হবো, পেট্রোল দিয়ে সমস্ত ভেকু মেশিন এবং ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিন। মামলা-হামলা যা আছে তা আমি দেখবো বা আমাদের রাষ্ট্র দেখবে। রাষ্ট্রের সম্পদ এই দস্যুরা নষ্ট করছে। এই সম্পদ আমরা নষ্ট করতে দিবো না। ক্ষণিকের লাভের জন্য স্থায়ীভাবে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরের কৃষকদের ভিক্ষুকে পরিণত করতে পারি না।” তিনি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আজকে দুই কোদাল কেটে, দুই দিন বৃষ্টির পর ওটাকে পুকুর দেখিয়ে সেখানে পুকুর বলে চালানো হচ্ছে।

আমরা এই প্রতারণা ও প্রতারকদের আশ্রয় দিবো না।” সবশেষে এমপি বলেন, “আমি বিনীত নিবেদন করছি মাটি খনন বন্ধ করুন। এটা রেড সিগন্যাল, সর্বোচ্চ সিগন্যাল দিচ্ছি এটাকে (পুকুর খনন) বন্ধ করতে।” এদিকে এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর এই বক্তব্যকে ঘিরে বেশ সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দিন ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সমালোচনায় উঠে আসে, এমপির নিজস্ব লোকজনই এই পুকুর খনন করছে।

ফেসবুকে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অমর ডি কস্তা লিখেছেন, উত্তরে চাঁন সাহেব, পূবে জোয়ার্দার সাহেব, পশ্চিমে মনির সাহেব ও দক্ষিণে রিন্টু সাহেব পুকুর খননের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যারা হলেন এমপির খাস লোক। ফেসবুক সমালোচনায় আরও জানা যায়, বড়াল নদীর প্রায় ১ কোটি টাকার সরকারি মাটি রাতের অন্ধকারে নিয়ে বিক্রি করছে খোদ এমপির লোকজন। তাহলে ফেসবুক লাইভে এমন বক্তব্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে এমন কথা বলার অর্থ কি বা উদ্দেশ্য কি। ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও নদীর মাটি বিক্রি থামাতে এমপি মহোদয়ের সদিচ্ছাই যথেষ্ট বলে মনে করেন স্থানীয় সুধী মহল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by