ময়মনসিংহ

বকশীগঞ্জে গালর্স স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

  প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ২:৩১:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মতিন রহমান, বকশীগঞ্জ(জামালপুর) প্রতিনিধি :

বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে স্কুল কতৃপক্ষ ও এক সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে চলছে দ্বন্ধ । সীমানার জমি নিয়ে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। দুই পক্ষই সীমানার জমি তাদের বলে দাবি করছেন।

এরই প্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ্য হন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র সাহা ও তার পরিবার। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পরিমল চন্দ্র সাহার ভাই বাবু লাল সাহা আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত প্রথমে কারন দশানোর নোটিশ দেন। এর পরেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান রাখে স্কুল কতৃপক্ষ। একই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দায়ের করা আপিল নিস্পত্তি না হওয়া পযন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এরপরেও শঙ্কায় রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিমল সাহা ও তার পরিবার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র সাহা বলেন, বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সীমানা সংলগ্ন আমার বসত বাড়ি। দীর্ঘদিন যাবত আমরা ভোগ দখল করিয়া শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করিয়া আসছি। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে নতুন বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। কাজের সময় দীর্ঘদিনের পুরনো সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনরায় নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু পূর্বে যে দিক দিয়ে সীমানা প্রাচীর ছিলো সেদিক দিয়ে না করে আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর করতে থাকে।

আমি তাদেরকে আমার জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করতে নিষেধ করি। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান আমাদের কথায় কর্ণপাত না করিয়া জোড় পূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে থাকে। আমি নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ্য হই। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। বিবাদীগন নোটিশ পাইয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আদালতের সিদ্ধান্ত না মেনে বিবাদী উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সীমানা প্রাচীর করতে থাকেন। তাই আমি পুনরায় বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। আমার দাবি উক্ত জমি নিয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তারা যেনো উক্ত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান না করেন।

তিনি আরো বলেন,আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মনগড়া নাটক সাজিয়ে সাধারণ ডায়রী করেছেন। ফলে আমরা ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের শরনাপন্ন হই। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, অন্তবর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কপি পেয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by