শিক্ষা

মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২২ , ৪:১৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বাইক বহরের সামনে দিয়ে ইউ-টার্ন করা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অতনু বর্মণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান সজীব সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের পাদদেশ হয়ে বাইক নিয়ে আসার সময় আমার এক বন্ধু আমাকে ডাক দেয়। আমি বাইকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ তার অনুসারীদের নিয়ে বাইক বহরে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় একটি সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাই। তখন উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমি প্রত্যুত্তরে বলি, ‘এই ভাই, খাড়ান!’ এ কথা বলার পরপরই হঠাৎ করে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের ওনার আনুমানিক ২০ জন অনুসারী এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। কয়েক মিনিট ধরে তারা গণহারে মারধর করে। আমার মাথা, কান, গলা, হাত-পায়ে এবং পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে।

তিনি বলেন, আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পরও তারা মারা থামায়নি। বরং তারা আরও বেশি করে মারে। পরে আমার দুই বন্ধু এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেয়। এ ঘটনায় অফিশিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতনু বর্মণ শুরুতে ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এরকম তো কোনো ঘটনা ঘটেনি! আমার হলে কালকে টুর্নামেন্ট আছে। আমি নিজেই তো আজ সারাদিন ব্যস্ত আছি। টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়িতে আছি। পরে বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করেন অতনু।

ভুক্তভোগীর ‌অভিযোগ ও প্রাথমিক চিকিৎসার কথা বললে তিনি বলেন, তার সাথে আমার শুধু মুখে তর্কাতর্কি হয়েছে। তর্কাতর্কি বলতে সে প্রথমে আমাকে চিনতে পারেনি। এরপরে কথা বাদে আর কিছু হয়নি। সে যেহেতু আমার ক্যাম্পাসের জুনিয়র, সে আমাকে পরে ‘স্যরি’ বলল। এরপর ব্যস্ততার কারণে আমিও চলে আসি, সেও চলে যায়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by