ঢাকা

মনোহরদীতে বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২১ , ৬:৩৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মনোহরদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ী ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বাধা দিতে গেলে নারীসহ কয়েকজনকে মারধর ও শ্লীলতাহানী করা হয়েছে।

ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান কনক ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের দুদু মিয়া ও তার ভাইদের জমিজমা জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ওই পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে। এমনকি নিজের সম্পত্তির উপর ঘর নির্মাণ করতে গেলে সেখানেও বাধা দেয় কনক ও তার ভাইয়েরা। এসব নির্যাতন দেখে প্রতিবেশীর পরামর্শ মতে জমির কাগজপত্র ঘেটে জানতে পারেন তাদের প্রায় দুই বিঘা জমি চেয়ারম্যান কনক ও তার ভাইদের দখলে রয়েছে। এসব জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা দুদু মিয়া ও তার ভাইদের নামে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয়।

রবিবার সকালে এক মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যান ওই পরিবারের নারীসহ ১৬জন। এ কারণে বাড়ী ফাঁকা পেয়ে রবিবার দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান কনক এবং চরমান্দালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক সদস্যের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জামির উদ্দিনের ছেলে দুদু মিয়া, রবি মিয়া, আব্দুর রহমান এবং রেনু মিয়ার চারটি ঘর ভেঙ্গে আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু ট্রাকে করে নিয়ে যায়।

 

এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে ফাহেদা খাতুন, মারজিয়া বেগম নামে দুই নারীকে শ্লীলতাহানীর শিকার হন। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম কমান্ডারের ছেলে রানা মিয়াকে বেদম মারপিট করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভূক্তভোগী ফজলুর রহমানের মেয়ে কুলসুম বলেন, ‘আমার বাবা এবং চাচাকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছে কনক চেয়ারম্যান ও তার পরিবার। রবিবার বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে দেড় শতাধিক সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দিন-দুপুরে আমাদের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে আদিলুর রহমান কনকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তবে আমরা কারো বাড়ী-ঘর ভাঙার সাথে জড়িত নই।’

মনোহরদী থানার ওসি মো. আনিচুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by