চট্টগ্রাম

মাথার মাথা গোজার ঠাঁই নেই ,জোটেনি কোনো ভাতা

  প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:৩১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মাথার মাথা গোজার ঠাঁই নেই ,জোটেনি কোনো ভাতা
মাথার মাথা গোজার ঠাঁই নেই ,জোটেনি কোনো ভাতা

বাঁশের কয়েকটি খুঁটির উপর দাঁড় করানো ছোট্ট একটি ঝুপরি ঘর। পুরনো ঢেউটিন আর পলিথিন দিয়ে মোড়ানো নড়বড়ে এ ঘরটিতে মানবেতর দিন কাটছে অসহায় আনোয়ারা খাতুনের। প্রায় ৫০ বছর বয়সী এ অসহায় মহিলা স্বামী-সংসার সব হারিয়ে বর্তমানে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাত পেতে কোনো রকম জীবনের ঘানি টেনে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শাকপুরা ১নং ওয়ার্ড এলাকার আতর আলীর বাড়ির মৃত হামজু মিয়ার মেয়ে আনোয়ারা খাতুনের ভাগ্যে এখনো পর্যন্ত জুটেনি বয়স্ক, বিধবা অথবা সরকারি কোনো ভাতা।

সম্প্রতি দুর্বিষহ কষ্টের ইতিহাসের কথা বর্ণনা করে আনোয়ারা খাতুন বলেন, ৩২ বছর আগে বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ এয়াকুবের সাথে আমার বিয়ে হয় তার। প্রায় ৫ বছর স্বামীর সাথে সংসার করার পর হঠাৎ আনোয়ারা বেগমের মানসিক সমস্যার কারণে স্বামীর সংসার ছেড়ে থাকে বাপের বাড়ীতে চলে আসতে হয়েছে। এই ৫ বছর সংসার জীবনে তার কোন সন্তান নেই।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র বসত ভিটেটুকু ছাড়া অন্য কোনো সহায়-সম্পদ নেই। পৃথিবীতে আমার কেউ নাই। ঘর নাই। খাবার নাই। আমাকে দেখার মতো কেউ নাই। সরকারি কোনো কার্ডও নাই। তাই সরকার যেন একটি ঘর তৈরি করে দিয়ে এবং একটি ভাতার কার্ড করে দিয়ে শেষ জীবনের নিরাপত্তা দেয় সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনোয়ারা খাতুন সত্যি চরম অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। যে ঝুপরি ঘরটিতে বাস করছেন যেকোনো সময় ঝড়-তুফানে সে ঘরটিকে উড়ে যেতে পারে। এ অসহায় মহিলা কোনো সরকারি ত্রাণ বা কোনো ভাতার আওতায়ও আসেননি। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি, তাকে দ্রুত সরকারি ভাতার একটি কার্ড এবং নিরাপদভাবে থাকার মতো সরকারি একটি ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

শাকপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম্মেল হক মানিক বলেন, সহায় এ মহিলাকে একটি ভাতার কার্ড করে দেয়া হবে এবং ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তাকে একটি ঘর করে দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by