চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে জনবসতি এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম: বর্জ্যের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ৮:১৮:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

মিরসরাইয়ের চরশরৎ গ্রামে অনুমোদনহীন ও অবৈধ একটি পোল্ট্রি ফার্মের বর্জের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ ঝুকিতে পড়েছে গর্ভবতী নারী ও শিশুরা। চর্ম, এলার্জি সহবায়ু দূষণজণিত রোগের প্রসার দেখা দিয়েছে গ্রাম জুড়ে। প্রাণীসম্পদ কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্মটি উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দাশ পাড়ায়অবস্থিত। যত্রতত্র ফার্মের বর্জ্য ও মৃতমুরগী ফেলারকারণে গন্ধে বিগত কয়েক দিন যাবৎ অতিষ্ঠহয়ে উঠেছে প্রায় ৫০টি পরিবার।
জানা গেছে, সরকারি কোন সংস্থার অনুমোদন ছাড়া বিগত ৩-৪ বছর আগে পোল্ট্রি ফার্মটি স্থাপন করেন কনিকাবালা দাশ। গ্রামীণ পরিবেশের বাহিরে পোল্ট্রি ফার্ম করার বিধান থাকলেও কণিকাবালা দাশ ফার্মটি গ্রামের মধ্যে স্থাপনকরেন। মুরগীরবর্জ্য ও মৃতমুরগী ধ্বংস করার কোনব্যবস্থা না করে তা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বর্জ্য ও মৃতমুরগীরপঁচা গন্ধে দাশপাড়াগ্রামের সাধারণ মানুষের বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সারাক্ষণ মুখেকাপড় বেঁধে চলাচলকরছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্নসরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।

স্থানীয় আমীনুলহক, সমীর দাশ, উজ্জলা রাণী দাশ, রতন চন্দ্র দাশ বলেন, কণিকাবালা দাশ ও তার স্বামী হীরালাল দাশক য়েকবছর আগে স্বন্দীপ থেকে এসে আমাদের গ্রামে একটি জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তারা সেখানে আইনের তোয়াক্কা না করে গ্রামের মধ্যে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করেন।ফার্মের বর্জ্য ও পঁচামুরগীর দূর্গন্ধে আমরা বাড়ীতে বসবাসকরতে পারছিনা। দূর্গন্ধের বিষয়েপ্রতিবাদ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালিকরে ও মামলার হুমকি দেয়।

 

এছাড়া সরকারী রাস্তা দখল করে সে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে। এতে করে ফার্মের টিনের চালে পানি রাস্তায় পড়ে বর্ষাকালে চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by