প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২:২৫:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বেশ কিছুদিন ধরে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম সমর্থিত শাহজালাল প্যানেল ও মোয়াজ্জেম হোসেন প্যানেলের সাথে কাউন্সিল নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। সম্মেলনে নুরুল আলম চৌধুরী তার বক্তৃতায় বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালালের গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের পরিবর্তে নৌভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এ সময় শাহজালাল মাইকের কাছে গিয়ে নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে হট্টোগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহজালালের পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন দৌঁড়ে গিয়ে শর্টগান এনে আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। নজরুল ইসলাম মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে শর্টগান প্রদর্শন ও উচ্চবাচ্য শুরু করে কঠোর হুমকি প্রদান করেন। এ সময় মঞ্চে পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এমন ঘটনায় উপস্থিত কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্মেলনে এই বিশৃঙ্খলা সবাইকে হতবাক করে। পরবর্তীতে সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা উঠে আসে।
সম্মেলনে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘হট্টগোল হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার পর সেখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।’ অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ কোন জিডি না করায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপরে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন, সব ব্যাপারে অভিযোগ বা জিডি করতে হয় না। যেহেতু ওসির চোখের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে তিনি নিজেই জিডি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
এদিকে বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালালের পক্ষে অস্ত্র প্রদর্শন ও বিশৃঙ্খলা হলেও এই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত হন শাহজালাল। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।