প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২১ , ২:৫৮:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর (নওয়াপাড়া) প্রতিনিধি:
আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিচার চেয়ে যশোর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহত কন্যার পিতা। গত ৫ জানুয়ারী যশোর জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নিয়ে অভয়নগর থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। নিহত তিশা উপজেলার পায়রাহাট টিএম আব্দুল হামিদ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়া গ্রামের নেহাল তরফদারের স্কুল পড়–য়া মেয়ে তিশাকে (১৩) উত্যক্ত করত এলাকার কতিপয় যুবক। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে তিশা নিজ বাড়ির পাশে একটি আম বাগানে পাতা কুড়াতে যায়।
এসময় ইকবাল ও রুবেল তিশাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করতে যায়। তখন শিশু তিশা প্রাণ রক্ষায় দৌঁড়ে বাড়ি চলে আসে। অপমান সইতে না পেরে ওইদিন সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় সে বিষপান করে। পরিবারের সদস্যরা আহত তিশাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিশা মারা যায়। মরদেহ বাড়িতে আনার পর দাফন করতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাঁধা প্রদান করে। পরে অন্যত্র দাফন করা হয়।
মেয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার না পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। প্রসঙ্গত, উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর অভয়নগর থানায় জিডি করেন নেহাল তরফদার। যার নং- ৪৮১। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, জেলা পুলিশ সুপারের দেওয়া তিশা আত্মহত্যার বিষয়টি তদন্তাধিন আছে।