দেশজুড়ে

রংপুরে ভাঙ্গা মসজিদের অজানা কাহিনী

  প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:৪১:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুর ব্যুরো :

মসজিদটি ৩তলা বিশিষ্ট। কোথাও কোন ভাঙ্গা নেই, দেখতেও সুন্দর। এখানে ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন এলাকার মানুষের পাশপাশি বিভিন্ন দূর দূরান্তর থেকে আসা মানুষগুলো। এটি হল ভাঙ্গা মসজিদ। রংপুর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়ায় অবস্থিত। স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গা মসজিদ নামকরণ হওয়ার কারণে প্রতিনিই অনেকেই আসেন এই মসজিদ দেখার জন্য। কেউ ছবি তুলে নিয়ে যান।

কেউবা স্থানীয়দের কাছে গল্প শোনেন কি কারণে এই মসজিদের নাম ভাঙ্গা মসজিদ হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র কৈলাশরঞ্জন মোড়ের পাশেই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের মসজিদটি। এই মসজিদটি মুঘল আমলের মধ্য সময়ে নির্মাণ করা হয়। বার বার ভাঙ্গার কারণে মসজিদটির নির্মাণ শৈলী সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। লেখক মতিউর রহমান বসুনিয়া কাব্যনিধির মাওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী ও রংপুরে ইসলাম প্রচার বই থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ বেতার রংপুরের উত্তর পাশে (যেখানে ফকিরের পাড়া ছিল) ফকির করকশাসহ ফকির সন্নাসীরা থাকতো।

তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী দেবী চৌধুরানীর স্বামী। এই ফকিরদের আরেকটি আস্থানা ছিল মাহিগঞ্জের গোসাই বাড়ি জমিদার বাড়িতে। এই ২ স্থান থেকে ফকিরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে।

১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ফকির বিদ্রোহের নেতা বিজলী করকশা এই মসজিদে বসে সাথীদের নিয়ে পরামর্শ করতেন। এ বিষয়টি ইংরেজটা বুঝতে পেরে ২ বার মসজিদটি ভেঙে দেয়। মসজিদটি ১৮৯০ সালে সংস্কার হয়। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির ১ম ও ২য়তলায় নামায় আদায় করে শত শত মুসল্লি। এই মসজিদটি ওয়াফক স্টেট দ্বারা পরিচালিত বলে সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের জানান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by