দেশজুড়ে

লকডাউনেও বন্ধ নেই ট্রিলিয়ন গোল্ড কারখানা, ঝুঁকির মুখে শ্রমিকরা

  প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ১২:৪২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : সমগ্র দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস ( কোভিড-১৯) সংক্রমন মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রস্ততি নিলেও যথেষ্ট সুরক্ষা প্রস্ততি ছাড়াই স্বাভাবিকের মতই চলছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার চুল তৈরীর কারখানা ট্রিলিয়ন গোল্ড লিমিটেড। খোলা থাকছে স্বাভাবিকের মতই এমনটাই বলছেন কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা। বর্তমানে ট্রিলিয়ন গোল্ডে কাজ করে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশী শ্রমিক। সরেজমিনে দিনের বিভিন্ন সময়ে ৪ শত করে শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। কারখানার প্রবেশ পথেই নেই কোন জীবাণূনাশক হ্যান স্যানিটাইজার বা সাবান পানির ব্যবস্থা। কোন প্রকার সচেতনতা না থাকায় মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার চুল কারখানার শ্রমিকেরা। 
গত ১৫ এপ্রিল বুধবার দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে পুরো দিনাজপুর জেলা লকডাউন ঘোষনা করে। পূর্বের নির্দেশনাসহ আবারো নতুন করে যোগ হয় লকডাউনের মত অবরুদ্ধ আইন । কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও চিরিরবন্দর উপজেলার ট্রিলিয়ন গোল্ড চুল কারখানা চালু থাকায় এই এলাকার মানুষ চরম ভাবে করোনা সংক্রমন ঝুঁকিতে রয়েছে। লকডাউনের কারণে সড়কে মানুষের চলাচল একেবারে নেই । বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। কারখানার বাইরে শুনশান সবকিছুই বন্ধ আর ভিতরে শ্রমিকের এমন জনসমাগম করে অসচেতনতা কার্যক্রম এই এলাকার মানুষের মাঝে  ভীতির সৃষ্টি করেছে। 
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা কয়েকজন বলেন, পূর্বের টানা ৬ দিন বন্ধের পর ট্রিলিয়ন গোল্ড নতুন করে চালু হয়েছে। ১৬ই এপ্রিল বেতন দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন বলছে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে বেতন হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তারা আরো জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে নাকি শুরু হবে শ্রমিকদের ওভার টাইম কাজ। কারখানা বন্ধের নেই কোন আলোচনা। বর্তমানে স্বাভাবিক ভাবে শ্রমিকের দেয়া হচ্ছে কাজের সময়।

স্থানীয়রা বলছেন, শ্রমিকদের বেতন নিশ্চিত করে কারখান বন্ধ করে দেয়া উচিত। বেতনের দাবিতে আমরা কারখানার মূলফটকে তালা ঝুঁলিয়ে দিলেও তা পরে খুলে দেয় ফতেজংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ লুনার ও পুলিশ। তারা আরো জানায় এখানকার জনসমাগম দেখলে মনে হবে দেশে কোন কিছুই হয়নি। খুব সকালে শ্রমিকদের ভিতরে প্রবেশ করাচ্ছে এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে তাদের ভাগ ভাগ করে বের করে দিচ্ছে। কারখানা বন্ধের ব্যাপাওে এই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কারখানার পক্ষ নিচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প কর্মকর্তা ড. আজমল হক জানান, ট্রিলিয়ন গোল্ড কারখানায় সচেতনতা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বন্ধ করে দেয়া উচিত। কারন এসব কারখানায় জনসমাগম সব চেয়ে বেশী । এখানে দুরত্ব বজায় না রাখলে ও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে করোনা সংক্রমনের ব্যাপকহারে ঝুঁকি বাড়বে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, শ্রমিকদের খুব তাড়াতারি বেতন দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। বেতন দেয়ার পরপরেই কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by