দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরের বেসরকারী স্কুলের ৬ হাজার শিক্ষকদের প্রনোদনার দাবি

  প্রতিনিধি ২ জুন ২০২০ , ৫:৩৫:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের মহামারির ছোবলে সারাদেশের মত লক্ষ্মীপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় চারশটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল (কেজি স্কুল) জেলার পাঁচশটি বেসরকারী কেজি স্কুলের প্রায় ৬হাজার শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে এই মহামারির সময়। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন এমপিও ভুক্ত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষকরাও। যেখানে স্কুল কতৃপক্ষ সেশনের অনুমতি থাকায় বেশি ছাত্রছাত্রীর স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করেন।

লক্ষ্মীপুর জেলায় চারশোটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন ছয় হাজারের বেশী শিক্ষক। কিছুটা বাড়তি সহায়ক বই যুক্ত করে সরকারি বিধি মেনে সরকারি শিক্ষা কারিকুলাম মেনে সরকারি সকল জরিপে অংশ গ্রহণ করে লক্ষ্মীপুরের কেজি স্কুলগুলোতে পাঠদান করা হয়।

শিক্ষার মান বার্ষিক এবং প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার ফলাফল ভালো থাকায় অনেক বাবা মা তার সস্তানদের কেজি স্কুলে ভর্তি করান। করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফি প্রদান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষক কর্মচারীদের মাসিক সম্মানীও বন্ধ রয়েছে দুই মাস ধরে। সামনে কতদিন বন্ধ থাকে তার কোনো সম্ভাব্য সময় বলা যাচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সরকারী র্কমর্কতাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রযোজনে সেপ্টেম্বর র্পযন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে।

সেপ্টেম্বর র্পযন্ত স্কুল বন্ধ থাকলে সময় ছাত্রছাত্রীরা টিউশন ফি দিবেন না। র্মাচ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭মাস ধরে কি বেসকরকারী স্কুল কিন্ডারর্গানের শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাবেন না? একই সাথে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, তাহলে কিভাবে তাদের সংসার চলবে প্রশ্ন করেন বেসরকারী স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষক মাহবুব জানান বৃদ্ধ বাবা দুই ভাই বোন নিয়ে শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি। একটি স্কুলে শিক্ষকতা আর ৩টি টিউশনি করে চলে তার সংসার। এখন স্কুল বন্ধ টিউশনি বন্ধ। বাসা ভাড়া সংসার কিভাবে চলবে। যা জমানো টাকা ছিলো তা দিয়ে চলছে এতদিন। সামনে কবে স্কুল খুলবে তার কোন ঠিক নেই। টিউশনি বন্ধ কি হবে আমাদের। বাসা ভাড়া সংসার কিভাবে চালাবো জানি না। বাসা ভাড়া ছেড়ে দিলে থাকবো কোথায়। আর খাবে কি?

প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সবুজ জানান, আমরা ভিশন বেকায়দায়  আছি।  আমাদের স্কুল গুলো চলে ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি দিয়ে। স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন আদায় করতে পারছি না। অন্যদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদেরও বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা সমাজরে এই সম্মানিত শিক্ষকরা লাইনে দাড়িয়ে ত্রান নিতে পারছে না। আবার অনেকের বাসা ভাড়া দিতে পারছে না। তিনি দাবি করেন সরকার জাতি গড়ার এই কারিগরদের দ্রুত প্রনোদনা দিয়ে তারা যেন বাচতে পারে এবং ভবিষ্যতে জাতি গড়ার কাজে নিজেদেকে নিয়োজিত করতে পারে সে ব্যাবস্থা করবেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সহযোগিতার কোনো বরাদ্দ আসেনি। শিক্ষকরা যদি চায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করলে ত্রাণ সহযোগিতাু পেতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by