চট্টগ্রাম

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারে ৫জনসহ নিহত৭

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারে ৫জনসহ নিহত৭

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫জনসহ ৭জন নিহত ও বাপ্পা নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নাজিরহাট খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ চারিয়া ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন সড়কে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৩শিশুসহ ৭জন জন মারা যায়। নিহত সকলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাজির পাড়া সাতবাড়িয়া ধনীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে।

নিহতরা হলেন ওই এলাকার নারায়ন দাশের স্ত্রী রীতা দাশ, তাদের ২জমজ সন্তান দ্বীপ এবং দিগন্ত, বর্ষা দাশ( ১০), শ্রাবন্তী দাশ(১৭), সম্ভু দাশের ছেলে বিপ্লব দাশ(২২) এবং সচিন্দ্র দাশের স্ত্রী চিনু বালা দাশ(৫০)।

সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামমুখী খাগড়াছড়ি থেকে পদক্ষেপ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস (চট্টমেট্রো-ব-১১-১৮০৮) দ্রুত গতিতে চারিয়া ইজতেমা মাঠ এলাকা আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা(চট্টগ্রাম থ-১৩-০২১৮) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৫জনসহ মোট ৭জন নিহত হয়।

নিহতের আত্মীয় রিমন জানান, চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া থেকে ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শাহনগর গ্রামের বণিক পাড়ায় বেড়াতে যাচিছল পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ভয়াবহ এ দূর্ঘটনায় তরতাজা ৭টি প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতক বাস।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, মডেল হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম, নাজিরহাট হাইওয়ে, উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসেন। দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর্যন্ত যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে প্রশাসনের সদস্যরা কাজ করেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমরা খবর পেয়ে একটা টিম দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এখানে আসার পর আমরা কাউকে আহত অবস্থায় পায়নি। সাতজনের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছি। আমরা আমাদের কার্যক্রমে সবার লাশ উদ্ধার করে থানায় দিয়ে দিয়েছি।

জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। আমরা ঘঠনস্থলে এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে আমরা মডেল থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে বাসের চালক ও হেলপার কাউকে পলাতক থাকার কারণে আটক করা যায়নি।অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by