আন্তর্জাতিক

আমরা আর ন্যাটোর সদস্য হতে চাই না : জেলেনস্কি

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২২ , ৫:১০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

তিনি বুঝে গেছেন, ন্যাটো রাশিয়াকে চটাবে না। তাই ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনিও আর কোনো জোরাজুরি করবেন না। তিনি এমন দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যারা হাঁটু গেড়ে ভিক্ষে চায়। 

টিভি সাক্ষাৎকারে এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, তিনি আর ন্যাটোর সদস্য হতে ইচ্ছুক নন। তিনি বুঝে গেছেন, ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়। তিনি বুঝেছেন যে, ন্যাটো রাশিয়াকে চটাবে না। তারা এই বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে।

দোভাষীর মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি এমন একটা দেশের প্রেসিডেন্ট থাকতে চাই না, যারা হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চায়।

যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়া যে দাবিগুলো করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইউক্রেন ন্যাটো ও ইইউ’র সদস্য হতে পারবে না, দনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে।

জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না। আর দ্বিতীয় দাবি নিয়েও তিনি নরম হয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে হবে। ওই দুইটি অঞ্চলকে শুধুমাত্র রাশিয়াই স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ওই অঞ্চলে মানুষ কীভাবে বসবাস করবে। তারা ইউক্রেনের অংশ থাকতে চায়। ইউক্রেনের মানুষ তাদের ছেড়ে দিতে রাজি কিনা সেটাও দেখতে হবে। তাই প্রশ্নটা শুধু তাদের স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে নয়, বিষয়টি বেশ জটিল।

তিনি আরো বলেন, আমরা হুমকি মেনে নিতে প্রস্তুত নই। যেটা দরকার, তা হলো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।

জেলেনস্কির এদিনের মন্তব্য যদি রাশিয়ার প্রতি প্রচ্ছন্ন বার্তা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে তা সহায়ক হলেও হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

যুদ্ধের সময়ে অন্তত ২০টি দেশ নেপথ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর। কিন্তু ন্যাটো এখনো প্রকাশ্যে ময়দানে না নামায় অথবা ইউক্রেনে আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোন না করায় জেলেনস্কি তা নিয়ে বার বারই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এ দিনও ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ১৩ দিন ধরে শুধু প্রতিশ্রুতির কথা শুনেই আসছি। আকাশপথে নাকি আমাদের সাহায্য করা হবে। আমাদের জন্য প্লেন পাঠানো হবে। এ বিষয়ে এখনো যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারল না, রাশিয়ার আক্রমণ থেকে ইউক্রেনের আকাশকে সুরক্ষিত রাখতে পারল না, দায়িত্ব কিন্তু তাদের উপরেই বর্তাবে। -ডয়চে ভেলে

আরও খবর

Sponsered content

Powered by