প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ২:২৫:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মঙ্গলবার সকালে মুনিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের পেছনে সেতারা সদনে গিয়ে দেখা যায় শুনশান নিরবতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান ও কাজী সেতারা বেগম দম্পত্তির তিন সন্তান। বড় ছেলে আশিকুর রহমান । মেঝো মেয়ে নুসরাত জাহান ও ছোট মেয়ে মুশারাত জাহান মুনিয়া।
মুশারাত জাহান মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান জানান, তিনি একটি ঔষধ কোম্পানীতে চাকরী করেন। তাদের বাবা- মা কেউ বেঁচে নেই। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মা সেতারা বেগম ছিলেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
মেঝো বোন নুসরাত গৃহিনী। থাকেন কুমিল্লায়। ছোট বোন মুশরাত জাহান কুমিল্লা মর্ডাণ স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচ বছর আগে ঢাকায় চলে যান। গত বছর এসএসসি পাস করেন। পরে ভর্তি হন মিরপুর ইস্পাহানী স্কুল এ্যান্ড কলেজে। মডেলিং ও অভিনয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে খুব ভালো ছবি আকতে পারতেন।
আশিকুর রহমান আরো জানান, মুনিয়া গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তিন ভাইবোনের মাঝে টানপোড়েনের সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
আশিকুর রহমান সবুজ আরো জানান, গতকাল ইফতারের সময় তার মেঝো ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান ফোন করে জানান তার ছোট বোন মুনিয়া আর বেঁচে নেই। তারপর তিনি সারারাত ঘুমাতে পারেননি।
আশিকুর রহমান সবুজ বলেন, তার বোন মুশারাত জাহান মুনিয়া কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। সে খুব আত্মপ্রত্যয়ী একটা মেয়ে। নিশ্চয় এটার পেছনে রহস্য আছে। কারণ ছোট বেলা থেকেই আশিকুর রহমান তার বোনকে কোলে পিঠে করে বড় করেন। তার বোন ভালো আর্ট করতে পারে। টুকটাক মডেলিং করতো। সে কেন ফাঁসি দিবে। এটাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে আশিকুর রহমান সবুজ দায়ীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মুনিয়ার খালাতো ভাই ইকবাল হোসেন জানান, তারা লাশ নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন। কুমিল্লায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে নগরীর টমসনব্রিজ কবরস্থানে বাবা-মা’র পাশে মুনিয়াকে সমাহিত করা হবে।
গুলশানের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুশারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মিরপুর ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কল এ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাটটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তরুণীর বাড়ি কুমিল্লা শহরে।